সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ ডিসেম্বর, ২০১৫ ২৩:৫৪

সৌদি জোটে বাংলাদেশ: শান্তির বিপক্ষে যাওয়া, মন্তব্য সুরঞ্জিতের

সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন ৩৪টি দেশের জোটে বাংলাদেশের অংশগ্রহণকে শান্তির বিপক্ষে যাওয়া হিসেবে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার বিজয় মঞ্চে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সৌদিআরবের সঙ্গে নাকি নতুন কি এক জোট-ফোট হচ্ছে। আমাদের পররাষ্ট্র নীতি কি হবে সেটা সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে। জাতির জনক আমাদের শুধু স্বাধীন দেশ আর পতাকাই দিয়ে যান নাই, একটা সংবিধানও দিয়ে গেছেন। সংবিধানের ২২ অনুচ্ছেদে স্পষ্ট বলা আছে, আমরা শান্তির পক্ষে যাব, যুদ্ধের পক্ষে যাবনা। ’

‘স্পষ্ট করে বলতে চাই শিয়া-সুন্নীর ঝগড়ায় আমরা যাবনা। আশা করি মানুষের অনুভূতি জননেত্রী বুঝবেন। এমন কিছু হবেনা যা শান্তির বিপক্ষে যাবে। আমরা উত্তেজনা চাইনা। আমরা শান্তির পক্ষে থাকার লোক। ’ বলেন সুরঞ্জিত।

তিনি বলেন, আমরা সৎ প্রতিবেশিসুলভ আচরণ করব। সবার সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক থাকবে। যারা বন্ধুপ্রতিম আছে, যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করেছে আমরা তাদের সঙ্গে একসঙ্গে চলতে চাই।

দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসির পর পাকিস্তানের ঔদ্ধর্তের বিরুদ্ধে সরকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘নমনীয়’ অবস্থানেরও সমালোচনা করেছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত।

তিনি বলেন, দেশে প্রতিবিপ্লবী শক্তি কোণঠাসা। বিপ্লবী শক্তি আজ ক্ষমতায়। অথচ দুই যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি কার্যকরের পর পাকিস্তান যে ঔর্দ্ধত্য দেখিয়েছে জাতির প্রত্যাশা ছিল সরকার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে একটা শক্ত জবাব আসবে। কিন্তু সেটা কি এসেছে ? পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে আমরা চিন্তাভাবনা করে দেখি। আরে পাকিস্তানের বিষয়ে এত চিন্তাভাবনা কিসের?

‘পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন না করেন, ঠিক আছে। কিন্তু পাকিস্তানের আমাদের যে রাষ্ট্রদূত আছে তারে ফিরিয়ে আনেন। ’ বলেন সুরঞ্জিত।

বেগম খালেদা জিয়ার উদ্দেশ্যে সুরঞ্জিত বলেন, আপনার দিন, আপনার রাজনীতি শেষ। আমাদের দিন শুরু। বাংলাদেশে রাজনীতি করতে হলে আপনাকে মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান জয় বাংলা বলেই রাজনীতি করতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান ও জহিরুল হক মৃধা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড.আনোয়ারুল আজিম আরিফ এবং নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ইন্দুনন্দন দত্ত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত