নিউজ ডেস্ক

২৩ মার্চ, ২০১৫ ০৩:০৫

আগাম প্রচার বন্ধে মাঠে নামছেন ম্যাজিস্ট্রেট

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আগাম প্রচারণা ঠেকাতে এবার মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিন সিটিতে ৬ জন করে মোট ১৮ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভোটগ্রহণের পরদিন পর্যন্ত তারা সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় মোবাইল কোর্টের দায়িত্ব পালন করবেন।

জানতে চাওয়া হলে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. শাহজাহান যায়যায়দিনকে বলেন, ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং চসিক সিটির জন্য ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তারা ইতোমধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছেন। নির্বাচনী এলাকায় তারা শিগগিরই কাজ শুরু করবেন।

আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরুর আগেই যেসব সম্ভাব্য প্রার্থী নির্বাচন উপলক্ষে পোস্টার ও ব্যানার সাঁটানো এবং নির্বাচনী সভা-সমাবেশ শুরু করেছেন, তাদের শাস্তিসহ জেল-জরিমানা করবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। আগাম প্রচারে নামা সম্ভাব্য প্রার্থীদের জন্য এটা খড়্গও বলতে পারেন।

গত ২০ মার্চ মধ্যরাতের মধ্যে সম্ভাব্য সব প্রার্থীর আগাম প্রচার সামগ্রী নিজ উদ্যোগে অপসারণের জন্য সময় দিয়েছিল কমিশন। কিন্তু এখনো তফসিল ঘোষিত সিটি এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের নানা রঙের রঙিন পোস্টার, ব্যানার ও বিলবোর্ড শোভা পাচ্ছে। এ নিয়ে কমিশন উদ্বিগ্ন ও বিব্রত।

এর আগে গত ১৮ মার্চ তিন সিটির তফসিল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী নির্বাচনের নামে কোনো ধরনের প্রচারে অংশগ্রহণ আচরণবিধির লঙ্ঘন। এমনকি যারা তফসিলের আগে দেয়াল লিখনসহ নির্বাচনী প্রচারে নেমেছিলেন, তাদের নিজ উদ্যোগে তা অপসারণের জন্য তফসিল-পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন সিইসি।

সিইসির সেই নির্দেশও উপেক্ষিত হয়েছে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা বন্ধ না করায় কঠোর অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আবদুল মোবারক। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনার হিসেবে যখনই শপথ নিয়েছেন, যথার্থ দায়িত্ব পালন করে যাবেন। নির্বাচন সুষ্ঠু করার জন্য যা যা করণীয়, সবই করা হবে। এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ তদারকির জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত