নিউজ ডেস্ক

১১ জানুয়ারি, ২০১৫ ০৭:০১

তারেকের ভুল কৌশল: খেসারত দিচ্ছে বিএনপি

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভুল কৌশলের খেসারত দিচ্ছে বিএনপি। ধরা পড়ে যাচ্ছে মিথ্যাচারের, ফলে ভাবমূর্তির সংকটে পড়ে দলটির বিশ্বাসযোগ্যতা ক্রমে গিয়ে পৌছাচ্ছে তলানিতে। মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের বিবৃতির মিথ্যাচার ধরা পড়ে যাওয়ার পর বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সাথে ফোনে কথা বলার কল্পকাহিনী তাদের অবস্থানকে হালকা করে দিয়েছে। 



জানা যায়, গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার পর আন্তর্জাতিক পর্যায়ের যোগাযোগ রক্ষাকারি নেতারা তারেক রহমানের নির্দেশে তৎপর হয়ে ওঠেন। তারা সারাদেশে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচির পাশাপাশি বিশ্বের প্রভাবশালী দেশ, দাতা ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সমর্থন আদায় করতে মরিয়া হয়ে ওঠেন। দেশে ও বিদেশে দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা সংশ্লিষ্ট দেশের ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী শীর্ষ নেতা এবং দাতা সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক ও যোগাযোগ রক্ষার জোর চেষ্টা চালিয়ে যান। 



পুরো বিষয়টির দেখভাল করার দায়িত্ব নেন তারেক রহমান নিজেই। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগের জন্যে নিয়োজিত নেতা শমসের মবিন চৌধুরী এবং আব্দুল আউয়াল মিন্টু চেষ্টা করতে থাকেন ক্ষমতাসীন বিজেপির সাথে যোগাযোগের। তারা কংগ্রেসকে আওয়ামিলীগ সরকারের বিশ্বস্ত মিত্র মনে করে বিজেপির দিকে হাত বাড়ান কিন্তু ব্যর্থ হয়ে প্রচার করেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে কথা হয়েছে বেগম খালেদা জিয়ার। সংশ্লিষ্ট নেতারা অনুমান করতে পারেননি শেষ পর্যন্ত এর সত্যতা যাচাইয়ের জন্যে অমিত শাহকে ফোন করা হবে এবং তিনি নিজেই অস্বীকার করবেন।



এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ৬ কংগ্রেসম্যানের ভুয়া বিবৃতির নেপথ্যে তারেক রহমানই। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন কংগ্রেসের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটি ও ছয় কংগ্রেস সদস্যের ভুয়া বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সহকারী হুমায়ুন কবীর। 



ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, তারেক রহমানের সহকারী হুমায়ূন কবিরের মাধ্যমে তারা বিবৃতিটি পান। খবরটি পরে প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাজ্যভিত্তিক দৈনিকটি। এছাড়া ভুয়া বিবৃতি প্রকাশ করায় দুঃখ প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস কর্তৃপক্ষ।


 


এর আগে মার্কিন কংগ্রেসের নামে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতি মিথ্যা বলে জানান যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান এড রয়েস ও কমিটির সদস্য এলিয়ট অ্যাঙ্গেল।


 


ভারতের সাথে যোগাযোগ এবং বেশ কয়েকটি দেশের সাথে যোগাযোগের কারণে শমসের মবিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হলেও বিএনপির আন্তর্জাতিক যোগাযোগ থেমে নেই। তারেকের নির্দেশনায়  বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা এই যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। কিন্তু বাঁধ সেধেছে এক সপ্তাহের মধ্যে সফল না হয়ে তারেকের নির্দেশনায় প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে।



উল্লেখ্য, দশম সংসদ নির্বাচনের আগেও জাতিসংঘসহ যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের রাজনীতিবিদ ও কূটনীতিকদের মাধ্যমে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়। একপর্যায়ে জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপারসনকে টেলিফোন ও চিঠি দেন। বিবদমান দুই দলের সঙ্গে বৈঠক করে সমঝোতার মাধ্যমে সব দলের অংশগ্রহণে একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকোকে পাঠিয়েছিলেন। 

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত