সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের ৩০মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।

জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৭১ সালের ২৭ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

তিনি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো প্রতি বছর দিনটি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে।

এ বছর দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো ২৮ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ১৪ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর মধ্যে রয়েছে, আলোচনা সভা, পোস্টার প্রকাশ ও কালোব্যাজ ধারণ, কালো পতাকা উত্তোলন, সংবাদপত্রে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, জিয়ার কবরে ফুল দেওয়া ও ফাতেহা পাঠ, দরিদ্রদের মাঝে খাবার বিতরণ ইত্যাদি।

শনিবার ভোর ৬টায় দলের নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকালে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি নেতাকর্মীরা প্রয়াত রাষ্ট্রপতির কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করবেন। জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের উদ্যোগে কবর প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। ড্যাবের উদ্যোগে সেখানে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন খালেদা জিয়া।

সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ড্যাবের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা কর্মসূচি থাকবে। মহানগর বিএনপির উদ্যোগে খালেদা জিয়া আজ থেকে তিনদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করবেন। একই সঙ্গে ২০ দলীয় জোটের শরিক কয়েকটি দল ও সমমনা সংগঠন দিনটি উপলক্ষে কর্মসূচি পালন করবে।