সিলেটটুডে ডেস্ক

১৭ ফেব্রুয়ারি , ২০১৮ ২১:৩৬

কাদেরের অবসরের সময় হয়ে গেছে: রিজভী

রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের বিশ্রাম নেওয়ার সময় চলে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, তার (কাদেরের) কথাবার্তার মধ্যে অসংলগ্নতা দেখা যাচ্ছে।’

শনিবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন জেলখানা আরাম আয়েশের জায়গা নয়। এ ছাড়া পরক্ষণেই তিনি বলেছেন কারাগার শান্তিতে-স্বস্তিতে থাকার জায়গা। জেলখানায় খালেদা জিয়া বিশ্রাম নেবেন। তিনি বলেন, ‘পরস্পরবিরোধী কথা বলতে আওয়ামী নেতাদের জুড়ি মেলা ভার। তাহলে খালেদা জিয়াকে বিশ্রামের জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে, প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে অন্যায় সাজা দিয়ে জেলে আটকে রেখেছেন কেন?’

রিজভী অভিযোগ করেন, ‘গতকাল আইনমন্ত্রীর কথাতেই প্রমাণিত হয় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মনের মাধুরী দিয়ে সাজানো মামলা, অন্যায় রায় এবং এখনো রায়ের কপি না দেওয়ার কলকাঠি নাড়ছে সরকার।’

তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছেন। গণতন্ত্রকামী মানুষের একমাত্র মুখপাত্র খালেদা জিয়া। ফেব্রুয়ারি মাসে যেভাবে মুখের ভাষা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, সেই একইভাবে বর্তমান স্বৈরশাসক উৎপীড়িত জনগণের প্রতিবাদকে বাধা দেওয়ার জন্য তাদের আশা-ভরসার প্রতীক দেশনেত্রীর কণ্ঠকে রুদ্ধ করার জন্যই তাকে আটক করে রাখা হয়েছে।’

এ সময় ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘কাদের সাহেব আপনারা গণতান্ত্রিক প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক রাজনীতি ও নির্বাচন উভয়ই দিতে ব্যর্থ। সমালোচনা গণতন্ত্রের অন্তর্নিহিত শক্তি। যে দেশে বিরোধী দল সরকারকে উদ্দেশ করে কিছু বললেই জেল-জুলুম সহ্য করতে হয়, সে দেশে কী তন্ত্র চালু আছে সেটি জনগণ আপনার কাছ থেকে জানতে চায়। কেউ সমালোচনা করে কিছু লিখলেই তাকে জুজুর ভয় দেখিয়ে আটক করা হয়, সেটা কি জীবিত গণতন্ত্র-নাকি গণতন্ত্রের মৃতদেহ?’

রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে জামিন মানবাধিকারের অংশ। জামিন অধিকার, এটি কারও অনুগ্রহ বা দয়া নয়। রায়ের কপি প্রদানে সরকারের বিলম্ব শুধু মানবাধিকার লঙ্ঘনই নয়, খালেদা জিয়াকে বেশি দিন কারাগারে আটকে রাখা অশুভ ইঙ্গিত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত