সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ এপ্রিল, ২০১৮ ২২:২৪

সব দল না এলে ভালো নির্বাচন হবে না: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, নির্বাচন করাই আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আশা করি, সব দলই আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে। সব দল না এলে তা ভালো নির্বাচন হবে না।

শনিবার নির্বাচন বিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে এসব কথা বলেন তিনি।

এসময় নির্বাচনকালে সংসদ বহাল থাকলে আচরণবিধিতে কিছু সংযোজন করে ইসি এমপিদের ক্ষমতার জায়গা খর্ব করবে কিনা-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, এটা ভাল প্রশ্ন। এটা অবশ্যই চিন্তা করা দরকার। তাদের রেখে নির্বাচন করতে হলে আচরণবিধিতে কিছু পরিবর্তন আনা দরকার।

রাজনৈতিক দলে অনাস্থা দূর করতে ইসি কি ভূমিকা পালন করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলের কমিশনের নিরপেক্ষতা ব্যাপারে কথাবার্তা কম বলছে। তারা রাজনৈতিক ব্যাপারে তাদের যে ইস্যু আছে সেটা নিয়েই ভাবে। কি ধরণের সরকার হবে, তাদের মামলা মোকদ্দমা কি হবে এসব নিয়ে ভাবে। অনাস্থার বিষয়টা আসে না। সেটা যদি আসে তবে আমরা তা চিহ্নিত করব।

সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হলে লেভেলে প্লেয়িং ফিল্ড কিভাবে সম্ভব-এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, কিছু কিছু জিনিস আছে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার নেই। সরকারের কাঠামো কেমন হবে, নির্বাচনের সময় সরকার কি রকম- এগুলো সম্পূর্ণ সরকারের বিষয়। নির্বাচন কমিশনের বিষয় না। কিরকম সরকার হবে না হবে সেটা নিয়ে আমরা কিছু করতে পারব না।

সংসদ নির্বাচনে ইসি ও মিডিয়ার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি?-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠান করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ।

দশম সংসদ নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি রোধ করতে ইসির কি ভূমিকা থাকবে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা দুঃখজনক হবে যদি আগের মতো হয়। সব দল নির্বাচনে না আসলে সে নির্বাচন ভাল নির্বাচন হয় না। আমরা নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করব সে ব্যাপারে আমাদের দৃঢ়তা আছে। কিন্তু সব দলের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাটা জরুরি। আমি এখনও আশা করি সব দল অংশগ্রহণ করবে।

সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারে ইসির প্রস্তুতি সম্পর্কে তিনি বলেন, আমরা বারবার বলেছি ইভিএম পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করতে পারি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তুতি আমাদের এখনও নেই। তবে এখন ইভিএমের বিষয়টি আমরা চেষ্টা করে যাব। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ভোট দেয়া কষ্টকর। তথ্যপ্রযুক্তির যুগে সেটা যেন কমিয়ে আনতে পারি সে চেষ্টা করে যাব।

কেএম নূরুল হুদা আরও বলেন, রংপুরে আমরা চেষ্টা করেছি। গাজীপুর ও খুলনায় আংশিক যতটা পারি আমরা সেখানেও আমরা মানুষের কাছে নিয়ে যাব। সেটা যদি গ্রহণযোগ্য হয় তখন ধীরে ধীরে এটাকে সংস্কার করা হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর আপত্তি না থাকলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার হতে পারে উল্লেখ করে সিইসি বলেন, যদি মেশিনগুলো ভালভাবে কাজ করে, যারা নির্বাচন করবেন তাদের যদি বিশ্বাস জন্মে ইভিএম গ্রহণযোগ্য হবে, যারা ভোট দিবেন তারা শিখতে পারেন এবং যারা ভোটগ্রহণ করবেন তারা যদি প্রশিক্ষিত হন-এইসবগুলোর সমন্বয়ের হলে তারপরে দেখা যাবে।

পিআইবির মহাপরিচালক শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের নিয়ে তিনদিনব্যাপী 'নির্বাচন বিষয়ক রিপোর্টিং প্রশিক্ষণের' সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুয়াল হোসেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত