সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ জুন, ২০১৮ ২২:৪২

‘আওয়ামী লীগকে হারানোর জন্য আওয়ামী লীগই যথেষ্ট’

আওয়ামী লীগকে হারানোর জন্য আওয়ামী লীগই যথেষ্ট বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমেদ। এসময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের দলের নেতারা একমঞ্চে ওঠেন না, কেউ কারও চেহারাও দেখতে চান না। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেওয়া হয়।’

শনিবার (২৩ জুন) গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এসব কথা বলেন বেনজির আহমেদ।

আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে কেন্দ্রীয় টিম গঠনের প্রস্তাব দিয়ে বেনজির আহমেদ আরও বলেন, ‘ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের কোনও সমস্যা আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু আমাদের সমস্যা হচ্ছে দলের কোন্দল। তৃণমূলে একইসঙ্গে কর্মসূচি পালনের কোনও পরিবেশ নেই।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় দলটির ৮টি বিভাগ থেকে আটজন জেলা নেতা বক্তব্য রাখেন।

এসময় আওয়ামী লীগের তৃণমূলের অন্য নেতারাও দলে অনুপ্রবেশকারী ঠেকাতে ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিরসনে এখনই পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তারা বলেন, জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগকে হারানো যাবে না। আওয়ামী লীগকে হারাতে আওয়ামী লীগেই যথেষ্ট। অনুপ্রবেশ ঠেকানো না গেলে নৌকার সলিল সমাধি হবে বলেও তারা অভিযোগ করেন।

জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাকিবিল্লাহ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘নতুন করে অনেকে নৌকায় ওঠার কারণে আমাদের পেছনে ভিজে যাচ্ছে। এটা অব্যাহত থাকলে নৌকার সলিল সমাধি হবে। নৌকা তীর খুঁজে পাবে না।’

তিনি আরো বলেন, ‘জিয়া আর মুস্তাকের পেতাত্মারা নৌকার ওপর ভর করেছে। এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’ তিনি পঁচাত্তরের রক্তাক্ত প্রান্তরে যারা নৌকার সঙ্গে ছিল, তাদের প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ করেন।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বরিশাল বিভাগের পক্ষে ধীরেন্দ্র নাশ শম্ভু, চট্টগ্রামের পক্ষে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন-অর রশীদ, সিলেটের পক্ষে মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নেসার উদ্দিন আহমেদ।

সভায় জেলা, উপজেলা ও পৌরসভা নেতাদের বিএনপি যে সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, অগ্নিসংযোগসহ নানা অপকর্ম করেছে, তার ওপর দল থেকে নির্মিত ভিডিও চিত্রের দু’টি করে সিডি দেওয়া হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী এইসব সিডি প্রত্যেকের এলাকায় প্রচারের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে নির্দেশ দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত