সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ জুন, ২০১৮ ২২:৫৯

আমরা ভোটচুরির বদনাম নিতে চাই না: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা ভোটচুরির বদনাম নিতে চাই না। জনগণের মন জয় করে তাদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে।’

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে। ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি করে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। নির্বাচন যেন স্বচ্ছ হয়, কেউ যেন নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে না পারেন।’

শনিবার (২৩ জুন) দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ খুবই হিসাবি। কেউ দুর্নীতি করলে তারা তা ভুলে যায় না। মানুষের চোখ খুলে গেছে। সময় খুব বেশি নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু প্রার্থী হতে গিয়ে দলকে বদনামে ফেলবে, এটা কোনোমতেই মেনে নেওয়া হবে না। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। সরকারের উন্নয়নের কাজগুলোর কথা না বলে কোথায় কার বিরুদ্ধে কী দোষ আছে, সেটা খুঁজে জনগণকে যারা বলবেন—তারা কখনো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না।

তিনি আরো বলেন, ‘একটি বিষয় লক্ষ করছি, কেউ কেউ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রার্থী হয়ে গেছেন। প্রার্থী হয়ে তারা বিএনপির লুটপাট-সন্ত্রাসের কথা বলেন না। তাদের বক্তব্যে এসে যায় আমার আওয়ামী লীগের এমপির বিরুদ্ধে, সংগঠনের বিরুদ্ধে।’

শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতিবাজ এমপিদের নয়, নিজ এলাকায় যার জনপ্রিয়তা রয়েছে তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে। যেসব এমপি টাকা নিয়ে কাজ করেন, দুর্নীতি করেন, তারা নমিনেশন পাবেন না। নমিনেশন দেয়া হবে এলাকায় জনপ্রিয়তা দেখে। কেউ দলের বিরুদ্ধে কথা বললে তার মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভোটের রাজনীতি করতে হলে উন্নয়নের কথা জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে। দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রাখা কর্মীরা যাতে অবহেলিত না হয় সেদিকে নজর রাখা হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।

তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কে প্রার্থী সেটা বড় কথা নয়, নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে জনগণের কাছে যেতে হবে। নির্বাচনে যাকে প্রার্থী মনোনয়ন করা হবে, নৌকা মার্কা দেওয়া হবে, তার পক্ষে সবাইকে কাজ করতে হবে। এ জন্য এখন থেকে জনগণের কাছে যেতে হবে। নৌকা মার্কায় ভোট চাইতে হবে। দলের মধ্যে ঐক্য রাখতে হবে, ত্যাগের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।

অনুপ্রবেশকারীদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি সারা দেশে সার্ভে করে বের করেছি। কাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তাদের মধ্যে কারা আমার দলের—সেই তালিকা আমার কাছে রয়েছে। কাজেই বলব, কেউ যদি তাদের প্রশ্রয় দিয়ে থাকেন, এখনই বিদায় করেন। কারণ তারা দুঃসময়ে থাকবে না। অনেকে এসে দলে কোন্দল করে, খুনখারাবি করে। এসব বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকতে হবে। দলের লোক আপন নয়, বাইরের লোক আপন হয়ে গেছে—এটা মনে করার কোনো সুযোগ নেই। তারা কিন্তু আপন হবে না। নিজের লোকদের চিনতে হবে।’

বাঙালির যা কিছু অর্জন সবই আওয়ামী লীগের শাসনামলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেশকে স্বাধীন করার জন্য। সব ধর্মের মানুষের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল আওয়ামী লীগ। ৭৫ এর পর দেশের ক্ষমতা ছিল ক্যান্টনমেন্টে বন্দী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত