সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৩:১৯

সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোনো গড়িমসি চলবে না: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিয়ে কোনো গড়িমসি চলবে না। জনগণের ভোট নিশ্চিত করতে নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না। তিনি সুষ্ঠু নির্বাচনের শত্রু পক্ষ। তার অধীনে নির্বাচনের অর্থই হচ্ছে ভোটারদের ভোটাধিকার হরণ।

রোববার (২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, ‌‘সরকারকে পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন দিতে হবে। নির্বাচনে সেনা মোতায়েন করতে হবে। জনগণের ভোট জনগণ দিতে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে সংবিধানের দোহাই দিচ্ছেন আওয়ামী মন্ত্রীরা, সংবিধানতো পরিবর্তন করেছেন আপনারা। আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনী আইন বাতিলের মাধ্যমে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছেন। সুতরাং গতকালের ওবায়দুল কাদের সাহেবের বক্তব্য অগ্রহণযোগ্য ও সত্যের অপলাপ।’

বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘সংবিধান সংশোধন করা যায়-যেমনটি ক্ষমতাসীনরা করেছেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আপনারা কিভাবে বাদ দিয়েছেন, আপনারা যেভাবে বাদ দিয়েছেন ঠিক সেভাবেই আবার তা সংবিধানে সংযোজন করা সম্ভব। যতই ষড়যন্ত্র, অপচেষ্টা ও অপলাপ করুন না কেন আপনাদের এবার বিদায় নিতেই হবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল শনিবার রাতে বিএনপির জনসভার বক্তব্য নিয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আওয়ামী লীগ নয়, নির্ভর করছে আদালতের ওপর। আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তি সম্ভব নয়, এক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করবে না সরকার।’

একই সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে বিএনপি সরকারের যে পদত্যাগের দাবি করেছে, তা নাকচ করে দিয়ে কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে।

এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। জনগণ আওয়ামী লীগের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে। গতকালের জনসভায় বিপুল মানুষের সমাগমেই প্রমাণিত হয়েছে জনগণ এ সরকারকে আর চায় না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার খালেদা জিয়ার জামিন বার বার বাধাগ্রস্ত করছে। তিনি একের পর এক মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেলেও আবার তা নানা কায়দায় আটকে দিচ্ছে সরকার। সরকারের নির্দেশেই বেগম জিয়া কারাগারে আটকে আছে। তিনি সুবিচারে নয়, প্রতিহিংসামূলক সরকারি বিচারে কারাবন্দী।’

জালিয়াতির মেশিন ইভিএম ব্যবহার নিয়ে নীলনকশা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর স্বল্প সংখ্যক দেশে যারা ইভিএম চালু করেছিল তারাও এ পদ্ধতি নিষিদ্ধ করেছে। অথচ সকল প্রতিবাদ উপেক্ষা করে কেন এ গণবিরোধী সরকার ইভিএম মেশিন দিয়ে ভোট করতে চায়, সেটি এখন জনগণ টের পেয়ে গেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মসূচি পালনে বাধা দেওয়ার তীব্র নিন্দা জানান রিজভী। একই সঙ্গে খালেদা জিয়াসহ আটককৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার জোর দাবি জানান তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত