সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ১৬:০৪

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশনে যাচ্ছে বিএনপি

দুর্নীতির মামলায় কারাগারে বন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি।

বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশজুড়ে মহানগর ও জেলায় ৮ সেপ্টেম্বর এক ঘণ্টার মানববন্ধন ও ১২ সেপ্টেম্বর দুই ঘণ্টার প্রতীক অনশন করা হবে বলে জানান দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রাজধানীতে মানববন্ধন হবে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টা থেকে ১২টায় এবং প্রতীক অনশন হবে সকাল ১০টা থেকে ১২টা।

তিনি বলেন, আজকে দেশের সর্বত্র কোটি কোটি মানুষ আওয়াজ তুলেছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি। তার মুক্তিই হচ্ছে জনগণের একমাত্র আকাঙ্ক্ষা। তার মুক্তির দাবিতে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ১১টা থেকে ১২টায় এবং সারাদেশে মহানগর ও জেলায় এই কর্মসূচি পালিত হবে। ১২ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ১২টা প্রতীক অনশন হবে ঢাকাসহ সারাদেশে মহানগর ও জেলা সদরে।

রিজভী বলেন, আমরা প্রতীক অনশনের জন্য রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিউশন অথবা গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চের জন্য আবেদন করেছি।

প্রসঙ্গত, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ৫ বছরের সাজায় খালেদা জিয়া পুরনো ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন। এর প্রতিবাদে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ধারাবাহিকভাবে বিএনপি মানববন্ধন, গণঅনশন, লিফলেট বিতরণ, বিক্ষোভ সমাবেশ-মিছিল, জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি পেশের কর্মসূচি করে আসছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর, নারায়ণগঞ্জ, কুষ্টিয়া, নেত্রকোনা, নাটোর, বরিশাল, নরসিংদী, বগুড়া, ঝিনাইদহ, সিরাজগঞ্জ ও খুলনাসহ সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের পুলিশের ‘মিথ্যা মামলা’ দিয়ে গ্রেপ্তার করার চিত্র তুলেন রিজভী।

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, মধ্যযুগে ইউরোপের ডাইনি শিকারের ন্যায় আওয়ামী সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিএনপিসহ বিরোধী দল শিকারের অভিযান চালাচ্ছে। ঘটনা না ঘটলেও পুলিশ বিভিন্ন থানায় অগ্রিম মামলা করে রেখে হাজার হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে রাখা হয়েছে। সারাদেশে চলছে মামলার ছড়াছড়ি, গ্রেপ্তার ও আসামি করার হিড়িক।

তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, এমনকি যেসব বিএনপি নেতারা দেশে নেই বা অনেকে হজ্ব পালন করতে মক্কায় অবস্থান করছেন তাদের নামেও মামলা দেওয়া হয়েছে। গত ৫/৬ দিন থেকে শুরু হওয়া গ্রেপ্তার এখন ৫শ'র কাছাকাছি। সরকার অজানা আশংকায় বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে কারাগার ভরে ফেলেছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, আসাদুল করীম শাহিন, মুনির হোসেন ও শাহীন শওকত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত