০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০২:৪৯
দেশের গণতন্ত্র ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা, কার্যকর সংসদ ও বর্তমান সরকারের পতনের দাবিতে দলমত নির্বিশেষে সকলকে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিলেন প্রফেসর বদরুদ্দোজা চৌধুরী, ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মাহমুদুর রহমান মান্না।
তারা বলেন, এই সরকারের পতন ছাড়া এ জাতির মুক্তি সম্ভব না। মানুষের জীবনের নিরাপত্তা থাকবে না। অন্যায় বেশিদিন টেকে না, ১০ বছর টিকেছে এবার আসুন অন্যায়কে দাফন করি।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ‘ইভিএম বর্জন: জাতীয় নির্বাচন ও রাজনৈতিক জোট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এ কথা বলেন। নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাসদ (রব) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জে. (অব) ইব্রাহিম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, প্রফেসর দিলারা চৌধুরী প্রমুখ।
সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রফেসর এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এখন জালেম সরকার ক্ষমতায়। বাংলাদেশের মানুষ গত ১০ বছরে অনেক অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করেছে। আর চায় না।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ছড়া কাটেন, টিপ্পনী করেন আর যাই করেন অহংকার করবেন না। তাহলে মানুষ দুঃখ পায়। শ্রদ্ধা করে কেউ ছোট হয় না আর অহংকার বা ঘৃণা করে কেউ বড় হয় না।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, সারা পৃথিবীতে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্য হয়। বাঙালির ইতিহাস অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। এবার অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, রাতের অন্ধকারে প্রজ্ঞাপন জারি করে আদালতের ভেতর কারাগার স্থাপন করেছেন বেগম খালেদা জিয়ার বিচার করার জন্য। এটা ফ্যাসিবাদী ঘটনা। সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং প্রচলিত আইনেরও লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, অত্যাচার-নির্যাতন অনেক হয়েছে। এখন বসুন, আলোচনা করুন, নির্বাচন কীভাবে হবে। ৭৮ হাজার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছেন নিজেদের রক্ষার জন্য। শেষ রক্ষা হবে না। পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দিন। আর ইভিএমের ভূত নামান। এটা দেশের মানুষ মানবে না।
আ স ম আব্দুর রব বলেন, সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। সংবিধানের ওপর ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ থাকলে খালেদা জিয়ার মামলায় জেলের ভেতর কোর্ট স্থাপন করতেন না।
ইভিএমের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে যখন ইভিএম বাতিল হচ্ছে তখন আমাদের দেশে ইভিএম চালু করতে চাচ্ছে সরকার। এটা করছে ভোটচুরির জন্য। এ পদ্ধতিতে ভোটচুরি সহজ হয় তা তারা জানে। এ ছাড়া অর্থ লুটপাটেরও একটা সুযোগ আছে।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সামনে ভোট। আবার যেন ৫ জানুয়ারির মতো ভোট না হয় সে জন্য সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে। আগামীতে এই সরকারের পতনের জন্য আন্দোলন করতে হবে। ভোটের অধিকার আদায় করতে হবে।
আসিফ নজরুল বলেন, আমরা সবাই মিলে যে ঐক্য করছি তা সরকারের বিরুদ্ধে নয়। এই ঐক্য সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার আদায়ের ঐক্য। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার ঐক্য।
আপনার মন্তব্য