সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ অক্টোবর, ২০১৮ ১৭:২৪

কী অন্যায়টা করেছি যে এখনই চলে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ষড়যন্ত্রের উর্বর ভূমি। দেশের মানুষ যখন ভালো থাকে কারও কারও ভালো লাগেনা। গত সাড়ে নয় প্রায় দশ বছরে অন্যায়টা আমি কী করেছি, যে আমাদের এখনই চলে যেতে হবে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু এরপর আমরাই সব থেকে বেশি উন্নয়য়ন করে গেছি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে পথ দেখিয়েছিলেন সেটাকেই আমরা এগিয়ে নিয়েছি।

জাতিসংঘের ৭৩তম অধিবেশন থেকে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে বুধবার এমন মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব নেতাদের আমি বলে এসেছি, জনগণ আমাদের ভোট দিলে আসব না চাইলে নাই। যাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে সকলেই আমাকে শুভকামনা জানিয়েছে। তারা চায় যেন আবারও যেন তাদের সঙ্গে আমার দেখা হয়। আমি নিজে থেকে নির্বাচন নিয়ে কারও সঙ্গে তেমন একটা কথা বলিনি।

তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের এতো উন্নয়ন, আমরা আবারও পাস কবো; এমন আত্মবিশ্বাস রাখা যাবে না। বাংলাদেশ উন্নত সভ্যদেশ হলে এটা বলা যেত। আমাদের দেশে এমন একটা দেশ ছিলো যে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি এটা বলা যেত না। আমরা বিজয়ী জাতি হওয়ার পরও পরাজিতদের হাতের পুতুল ছিলাম। আমি সেখান থেকে দেশকে বের করে এনেছি। আমার কাজ আমি করেছি। এখন অন্যদের দায়িত্ব নিয়ে বাকিটা এগিয়ে নিতে হবে।

এর আগে, নিউ ইয়র্কে ছয় দিনের সফরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে ভাষণ দেয়া ছাড়াও বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গেও শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি এ সংকট সামাল দিয়ে দূরদর্শী ভূমিকার জন্য নিউইয়র্কে দুটো সম্মাননা পান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের বিভিন্ন উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অংশ নিয়ে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।

নিউ ইয়র্কে সফরের দ্বিতীয় দিন ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে শরণার্থী সংকট নিয়ে উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শেখ হাসিনা এক বছরের বেশি সময় ধরে চলমান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে তিনটি প্রস্তাব বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরেন।

সাধারণ পরিষদে ভাষণের আগে ২৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জাতিসংঘ মহাসচিব ‘পূর্ণ সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতার’ প্রতিশ্রুতি দেন।

ঢাকা থেকে ২১ সেপ্টেম্বর রওনা হয়ে দুদিন লন্ডনে কাটিয়ে ২৩ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। সেদিন সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনায় যোগ দেন তিনি। সফর শেষে ১ অক্টোবর সকালে দেশে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত