জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ঘোষিত ৭ দফা দাবি না মানলে ভবিষ্যতে ‘বিচার’ করার হুমকি দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল হোসেন।

শনিবার (২৭ অক্টোবর) চট্টগ্রাম নগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন সংলগ্ন নুর আহমেদ সড়কে ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় তিনি এই বিচার করার কথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম নগর বিএনপির সভাপতি শাহাদাত হোসেন।

ড. কামাল বলেন, এ চিত্র ভিডিও ও ছবি (সমাবেশের) তুলে আমাকে দেবেন। আমি জীবনে যদি বেঁচে থাকি, একদিন না একদিন এ অসাংবিধানিক কর্মকাণ্ডের জন্য এ সরকারকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড় করাবো।

সরকারের উদ্দেশ্যে ড. কামাল আরও বলেন, সাত দফা দাবি দিয়েছি, মেনে নিন। তা না হলে হলে আপনাদের আইনের কাঠগড়ায় উঠতে হবে।

"আজকে জনগণ ৭ দফার পক্ষে হাত উঠিয়ে গণরায় দিয়েছে। সিলেটেও গণরায় দিয়েছে। সরকারকে বলব, সময় থাকতে ৭ দফা দাবি মেনে নিন। অন্যথায় এটা অমান্য করার জন্য বিচার হবে।"

তিনি আরও বলেন, এই সিদ্ধান্ত অমান্য বা উপেক্ষা করলে, যে শাস্তি আপনারা পাবেন তা কল্পনাও করতে পারবেন না।

নির্বাচন সামনে রেখে গত ১৩ অক্টোবর কামাল হোসেনের নেতৃত্বে বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়, যার সঙ্গে আছে আসম আবদুর রবের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি এবং মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য। সংসদ ভেঙে, খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি রয়েছে এই সাত দফার মধ্যে, যার একটিও মানা হবে না বলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জানিয়েছে।

ড. কামাল হোসেন সমাবেশে আরও বলেন, সরকার হলো সেবক। আর জনগণ হলো দেশের মালিক। আজ চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে জনসভা করতে দেওয়া হয়নি। এ জন্য মানুষের কষ্ট হচ্ছে। এটার কৈফিয়ত আদায় করতে হবে। তাদের শাস্তি দিতে হবে, যারা এ কাজটা করেছেন। লালদীঘি ময়দান কেন দেওয়া হয়নি-এটার জবাব দিতে হবে। এটা কারোর বাপ-দাদার সম্পত্তি নয়। জনগণ এটার মালিক।

জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জাসদের (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। জনসভায় বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, ঐক্যফ্রন্টের নেতা সুলতান মো. মনসুর, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এরআগে সিলেটে গত বুধবার ঐক্যফ্রন্ট সমাবেশ করে। এটা চট্টগ্রামে ঐক্যফ্রন্টের দ্বিতীয় জনসভা।