সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ নভেম্বর, ২০১৮ ১১:৪৫

খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে সিদ্ধান্তহীন বিএনপি!

একাদশ জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের সাথে দ্বিতীয়বারের মতো সংলাপে বসেছে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে নবগঠিত জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট; এই জোটের বড় শরিক দল বিএনপি।

ঐক্যফ্রন্টের দাবি- বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। কিন্তু বরাবরের মত প্রথম দফার সংলাপের সময়েও সরকার বলেছে, সংবিধানের বাইরে গিয়ে এই দাবি পূরণ করা সম্ভব নয়।

বিরোধী জোট কি আশা করছে যে এ কদিনে সরকারের অবস্থানের পরিবর্তন ঘটবে? ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপির একজন কেন্দ্রীয় নেতা মওদুদ আহমেদ বিবিসিকে জানান, সরকার সংলাপের আহ্বানে সাড়া দেয়ায় তারা চিন্তা করেছেন সরকারের অবস্থান পরিবর্তন করতেও পারে।

মওদুদ আহমেদ বলেন, "সংসদ ভেঙে দেয়ার বিষয়টি সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক নয়।"

"মেয়াদ পূর্তির আগে প্রধানমন্ত্রী সংসদ ভেঙে দেয়ার উপদেশ দিতে পারেন রাষ্ট্রপতিকে। তখন রাষ্ট্রপতি চাইলে সংসদ ভেঙে দিতে পারেন।"

সংবিধান অনুযায়ী সংসদ ভেঙে দেয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কালীন সরকারের অধীনে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে যাবে কি না সেবিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি বলে জানান তিনি।

"তাঁরা ক্ষমতায় থেকে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কী কী পদক্ষেপ নিতে রাজি আছেন - তা পর্যালোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে আমরা অংশ নেবো কি না।"

ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা দাবির অন্যতম প্রধান দাবি বিএনপি নেতা খালেদা জিয়ার মুক্তি। সরকার যদি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি না মেনে অন্য দাবিগুলো মেনে নেয় তখন ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কী হবে?

এমন প্রশ্নে মওদুদ আহমেদ বলেন, "সেই ধরণের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে আমরা পারি নাই, পারছি না।"

"সেরকম কিছু হলে তৃণমূল সহ সব পর্যায়ের নেতাদের সাথে আলোচনা করতে হবে এবং খালেদা জিয়া কী ভাবছেন সেটা জানতে হবে।"

ঐক্যফ্রন্টের সাত দফার প্রথম দফায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সহ সংসদ ভেঙে দেয়া এবং সরকারের পদত্যাগ তিনটি দাবি যুগপৎ ভাবে আছে বলে জানান মওদুদ।

সরকার যদি তিনটির একটি দাবিও না মানে, সেক্ষেত্রে ঐক্যফ্রন্টের অবস্থান কী হবে?

"তখন অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তখন তো আমাদের আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না", বলেন মওদুদ আহমেদ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত