সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি থেকে অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ক্লিয়ারেন্স পেলে, একটু সবুজ সংকেত পেলে সারা দেশে বিএনপির বিপুল নেতা-কর্মীর স্রোতধারা আওয়ামী লীগ অভিমুখে যাত্রা করবে। এই যাত্রা মির্জা ফখরুল ইসলাম ঠেকাতে পারবেন না।

বুধবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আগামী দিনে দলবদলের রাজনীতির কোনো চমক আছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের জানান, ঘোড়াবদলের যে রাজনীতি, এটা গণতান্ত্রিক দেশগুলোয় নতুন কোনো বিষয় নয়। নতুন কোনো দৃশ্যপট নয়।

তিনি বলেন, ‘কে কোন দিকে অবস্থান নেবে, অলরেডি তো হচ্ছেই। আমরা কিন্তু এখনো নেত্রীর ক্লিয়ারেন্স পাইনি। অনেকেই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’

আগামী জাতীয় নির্বাচন থেকে বিএনপি সরে যাবে, এমন আশঙ্কা আছে কি না—সাংবাদিকের এ প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এই আশঙ্কা এই মুহূর্তে করতে চাই না। কারণ, আমরা একটি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চাই। ইলেকশনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হোক, ইলেকশনে যদি কমপিটিশন না থাকে, তাহলে রেজাল্টের কোনো মজা নেই।’

তিনি আরও বলেন, বিএনপি এর মধ্যে টের পেয়েছে যে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট হলে তাদের নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, তাদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জনগণ বিরক্ত। বিএনপি এখনো নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। সেটা তারা প্রমাণ করেছে তফসিল ঘোষণার পর পল্টনে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে।

নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভিন্ন দলের অভিযোগের বিষয়ে কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে সক্ষম হবে। ভালো একটি নির্বাচন হবে। বিএনপি অহেতুক এসব অভিযোগ করছে এবং তারা অভিযোগ করতেই থাকবে যতক্ষণ না তারা জেতার নিশ্চয়তা পায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল প্রমুখ।