সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ নভেম্বর, ২০১৮ ১৬:০৯

গণফোরামের যোগদান অনুষ্ঠানে যাননি একে খন্দকার

ড. কামাল হোসেনের গণফোরামে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অনুষ্ঠানে যাননি মুক্তিযুদ্ধের উপ-অধিনায়ক ও আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) একে খন্দকার।

রোববার রোববার দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে গিয়ে গণফোরামে যোগ দেওয়ার কথা ছিল একে খন্দকারের। তবে অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যালেন ইটিভি’র (একুশে টেলিভিশন) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম।

একে খন্দকার কেন আসেননি, এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলেও আয়োজকরা তার কোনো জবাব দেননি।

এরআগে গণফোরামের প্রশিক্ষণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম পথিক গণমাধ্যমকে একে খন্দকারের যোগদানের বিষয়টি জানিয়েছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রয়াত অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া এবং আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা মেজর জেনারেল (অব.) আ ম সা আমিন গণফোরামে যোগ দেয়ার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণফোরাম সভাপতি ও ঐক্যফ্রন্টের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহাসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক, সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ প্রমুখ।

এ ছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী, সাবেক ছাত্রনেতা সুলতান মো. মনসুরও উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, একে খন্দকার বিমানবাহিনী থেকে অবসরগ্রহণের পর রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন। তিনি স্বাধীনতা বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এমএজি ওসমানীর পরেই উপপ্রধান সেনাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিমানবাহিনীর প্রথম ছিলেন একে খন্দকার। ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের সরকারের সময় ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান। ১৯৮৬ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৯০ সালের মার্চ পর্যন্ত তিনি এরশাদ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী ছিলেন।

এর আগে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন। বাংলাদেশ সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের চেয়ারম্যান হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন একে খন্দকার।

২০০৮ সালের পর তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনামন্ত্রী হন। ২০১৪ সালে তার বই '১৯৭১ : ভেতরে বাইরে' প্রকাশিত হয়। এটি রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় সৃষ্টি করে। এতে প্রকাশিত কিছু তথ্যের কারণে ইতিহাস বিকৃতির অভিযোগ আনেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত