সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ০০:১২

পেয়েও মনোনয়ন হারালেন লিপি

সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েও স্বামীর রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বাদ পড়েছেন শিরিনা নাহার লিপি নামের যুব মহিলা লীগের এক নেত্রী।

গত শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভায় সংরক্ষিত নারী আসনে যে ৪১ জনকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত হয় তাদের মধ্যে ছিলেন যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি লিপি। তবে সোমবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশনে যে ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তার মধ্যে লিপির নাম নেই।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেন, “শিরিনা নাহার লিপির বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন। তাছাড়া লিপির স্বামী বিএনপির নেতা সেটা প্রমাণিত হয়েছে। সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে লিপির মনোনয়ন বাতিল করে টাঙ্গাইলের মমতা হেনা লাভলীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।”

এদিকে, শুক্রবার লিপিকে আওয়ামী লীগ মনোনয়ন দেওয়ার পর ফেসবুকে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের মধ্যে এনিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দেয়। অনেকেই ফেসবুকে বিভিন্ন স্ট্যাটাস ও কমেন্টে এই মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানাতে থাকে। ফেসবুকে বিভিন্ন ব্যবহারী তাদের স্ট্যাটাস ও কমেন্টে লিপির স্বামী আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত এবং শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার আইনজীবী ছিলেন বলে উল্লেখ করেন। অনেকেই লিপির মনোনয়ন বাতিল চেয়ে ফেসবুক পোস্টে তার স্বামীর বিএনপি সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ হিসেবে পোস্টারও তুলে ধরেন।

তারই একটি পোস্টারে দেখা যায় সজল বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য এবং বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি। একাদশ সংসদ নির্বাচনে লিপির স্বামী সজল মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বলেও জানান।

উল্লেখ্য, আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসা লিপি কেন্দ্রীয় কমিটিরও সদস্য ছিলেন। তার বাবা প্রয়াত এম এ বারী সত্তরের দশকের প্রথম দিকে খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্নেহভাজন হিসেবে পরিচিত বারী খুলনা থেকে সংসদ সদস্যও হয়েছিলেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত