সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ১৩:৫৬

ভোটে অনিয়মের অভিযোগে ঐক্যফ্রন্টের গণশুনানি

একাদশ সংসদ নির্বাচনে ভোটে অনিয়মের অভিযোগ শুনতে ঢাকায় ‘গণশুনানি’ এর আয়োজন করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনে ‘একাদশ জাতীয় সংসদের তথাকথিত নির্বাচনের ওপর গণশুনানি’ শিরোনামে এই আয়োজন শুরু হয়েছে।

দুপুরে এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা ‘শুনানি’ চলবে বলে জানিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পুরান ঢাকার চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব পড়ে শোনান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এরপর নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং উপস্থিত সবাই নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় মোনাজাতে অংশ নেন।

ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা গণ ফোরাম সভাপতি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে সাতজন এই ‘শুনানি’ পরিচালনা করছেন।

মিলনায়তনের মঞ্চে কামাল হোসেনের সঙ্গে আছেন অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী, সাবেক বিচারক আকম আনিসুর রহমান খান, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ ও অধ্যাপক আসিফ নজরুল।

ঐক্যফ্রন্টের নেতারা জানান, ভোটের ৫৩ দিন পর জোটের প্রার্থীরা তাদের অভিযোগ ও তাদের অভিজ্ঞতা জানাতে এই ‘গণশুনানিতে’ উপস্থিত হয়েছেন।

অতিথি সারিতে বসে বক্তব্য শুনছেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম খান আলমগীর, আবদুল মঈন খান, আবদুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, জেএসডির আসম আবদুর রব, তানিয়া রব, শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, হাবিবুর রহমান তালুকদার, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, রেজা কিবরিয়া, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, শহিদুল্লাহ কায়সার, জাহেদ-উর রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিভিন্ন আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরাও উপস্থিত রয়েছেন এ ‘গণশুনানিতে’।

প্রসঙ্গত, বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, নাগরিক ঐক্য নিয়ে গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট একসঙ্গে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল। চট্টগ্রাম-১৪ আসনে ২০ দলীয় জোটের শরিক এলডিপির অলি আহমদে ও সিলেট-২ আসনে গণফোরামের মোকাব্বির খান নিজ নিজ দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন। বাকিরা প্রার্থী হন বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে।

ভোটের দিনই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে ‘অনিয়মের’ অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচনের দাবি জানায়। ওই নির্বাচনে অভাবনীয় জয় পেয়ে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বারের মত সরকার গঠন করেছে। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্ট পেয়েছে মাত্র আটটি আসন। বিজয়ী প্রার্থীরা শপথ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটও গত ১১ জানুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি ‘গণশুনানি’ করেছিল।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত