সিলেটটুডে ডেস্ক

২৭ মার্চ, ২০১৯ ১৭:১৩

স্বাধীনতা দিবসে সিলেট মহানগর বিএনপির বর্ণাঢ্য র‍্যালি

মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সিলেট মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নগরীতে বিশাল বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকেলে নগরীর জিন্দাবাজার থেকে র‌্যালিটি শুরু হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হয়।

র‌্যালিতে সিলেট মহানগর বিএনপি, ২৭টি ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের সহস্রাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। র‌্যালিতে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবী জানিয়ে স্লোগানে রাজপথ প্রকম্পিত করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।

এছাড়া র‌্যালি থেকে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দেয়া সাজা ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয় র‌্যালি থেকে।

আম্বরখানা পয়েন্টে র‌্যালি পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরে মহান স্বাধীনতার ঘোষক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সুযোগ্য সহধর্মিণী তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিচারের নামে প্রহসনের ফরমায়েশি রায়ে কারাগারে রয়েছেন। স্বাধীনতা দিবসের দিনে এমন দৃশ্য জাতির জন্য লজ্জাকর। ক্ষমতাসীন বাকশালী স্বৈরাচারী সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ফেরি করে নিজেদেরকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করে। অথচ তারা অবৈধভাবে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা, একজন সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রীকে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় কারাগারে আটকে রেখেছে।

তারা বলেন, বিচারের বিভাগে নগ্ন হস্তক্ষেপের কারণে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি থেকে শুরু করে ফাঁসির আসামি পর্যন্ত জামিন পায়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না। ২৫শে মার্চের কালরাত্রে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর গণহত্যার বর্বরতায় দিশেহারা জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে মহান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন জিয়া। তার ঘোষণায় জাতি পায় পথের দিশা, ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিকামী মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। যার ফলে দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিশ্বের বুকে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সূচনা হয়।
 
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেকের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত র‌্যালি পরবর্তী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও র‌্যালিতে অংশ নেন- বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা এম. এ হক ও ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহক্ষুদ্র ঋণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকী, সহসভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, সালেহ আহমদ খসরু, আব্দুস সাত্তার, আব্দুর রহিম, ডা. নাজমুল ইসলাম, সুদীপ রঞ্জন সেন বাপ্পু, ফাত্তাহ বকশী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, মাহবুব কাদির শাহী, এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, আব্দুল আজিজ, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দিকী, কাউন্সিলার সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, মুকুল আহমদ মোর্শেদ, মাহবুব চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ রেজাউল করিম আলো, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, প্রকাশনা সম্পাদক জাকির হোসেন মজুমদার, স্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক হাবিব আহমদ চৌধুরী শিলু, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. আশরাফ আলী, আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিন, শ্রম সম্পাদক ইউনুস মিয়া, মানবাধিকার সম্পাদক মুফতী নেহাল উদ্দিন, পরিবেশ সম্পাদক আবুল কালাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক জেবুল হাসান ফাহিম ও খসরুজ্জামান খসরু, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আলতাফ হোসেন সুমন, মহানগর ছাত্রদল সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বী আহসান, মহানগর মহিলা দল সভানেত্রী জাহানারা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদিকা নিগার সুলতানা ডেইজী, বিএনপি নেতা আমিনুর রহমান খোকন, সোহেল বাসিত, নজির হোসেন, আব্দুর রহিম মল্লিক, খোকন ইসলাম, আব্দুল আহাদ, আব্দুস সাত্তার আমীন, রফিকুল ইসলাম, উজ্জল রঞ্জন চন্দ্র, আব্দুস সামাদ তুহেল, মোতাহির আলী মাখন, সাব্বির আহমদ, শেখ কবির আহমদ, দিলোয়ার হোসেন চৌধুরী, সিরাজ খান, দিলোয়ার হোসেন রানা, মোশাহিদ মিয়া, জুম্মান আহমদ, মহিলা দল নেত্রী মিনারা হোসেন, রেহানা ফারুক শিরিন, ফাতেমা জামান রুজী, আছিয়া খাতুন মনি, রুহেনা খানম মুক্তা, রাহেলা জেরিন কানন ও হাসনা বেগম, ছাত্রদল নেতা এনামুল হক, আব্দুল হাসিব, জুবের আহমদ, তানভীর আহমদ চৌধুরী, মিনার হোসেন লিটন, আশরাফ উদ্দিন রাজীব, ফাহিম আহমদ মৌসুম, রাজন আচার্য্য, আলী আকবর রাজন, তাজুল ইসলাম সাজু, আবুল হোসেন, এম. সোয়েব আহমদ ও মাহবুবুল আলম সৌরভ প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে বাকশালী কায়দায় ব্যবহার করে বিরোধী মতকে দমন ও রাজনীতিশূন্য করেছে। দেশে মত প্রকাশের কোন স্বাধীনতা নেই। সরকার কালো আইন তৈরির মাধ্যমে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করেছে। প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে নির্বাচন কমিশনকে ঠুঠো জগন্নাথে পরিণত করেছে। দেশ ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠা যখন সময়ের দাবি সেখানে পরিকল্পিতভাবে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করে রাখা হয়েছে। পিলখানা ট্র্যাজেডির মাধ্যমে স্বাধীনতার প্রতীক দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও অতন্দ্র প্রহরী বিডিআরকে ধ্বংস করেছে। এ সরকারের আমলে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। তেল-গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি, দুর্নীতি, লুটপাট, চাঁদাবাজি ও দলীয়করণের কারণে সরকার সকল ক্ষেত্রে চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় গুম, খুন ও অপহরণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়ত। ফলে জনগণের মধ্যে চরম আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে স্বাধীনতার সুফল অর্জন করা সম্ভব নয়।

তাই গণতন্ত্রের পুনরুদ্ধার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান তারা।

এদিকে স্বাধীনতা দিবসের প্রথম প্রহরে চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন সিলেট মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আজমল বখত চৌধুরী সাদেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান সাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল আহমদ মোর্শেদ ও মাহবুব চৌধুরী, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক জাকির আহমদ মজুমদার, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. আশরাফ আলী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক ইউনুস মিয়া, আপ্যায়ন সম্পাদক আফজাল উদ্দিন, বিএনপি নেতা কয়েস আহমদ সাগর, সাদেক আহমদ, উজ্জল রঞ্জন চন্দ, রুস্তুম আলী, জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি আব্দুল হাসিব, হকার্স দল নেতা খোকন ইসলাম ও আব্দুল আহাদ প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত