সিলেটটুডে ডেস্ক

১০ আগস্ট, ২০১৫ ১৪:০৯

দুর্নীতির দুই মামলা: খালেদা জিয়ার সময় আবেদন নাকচ

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি চেয়ে সময়ের আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের সোয়া পাঁচ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ওই দুই দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে।

সোমবার (১০ আগস্ট) পুরান ঢাকার বকশীবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৩-এ সকাল ১০টা ৩৪ মিনিটে এই বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। সোমবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও মাহবুব উদ্দিন খোকন দুর্নীতির দুই মামলায় সময় চেয়ে চারটি আবেদন করেন।

শুনানি শেষে বিচারক খালেদাকে ছয় মাসের জন্য সশরীরে হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন। একই সঙ্গে আগামী ২৭ আগস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি ধার্য করেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি চেয়ে সময়ের আবেদন নাকচ করা আবেদনে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার চোখে সমস্যা দেখা দিয়েছে। তিনি লন্ডনে চিকিৎসা করাতে যাবেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা দুটিতে হাজিরা দিতে সোমবার আদালতে যাননি বেগম খালেদা জিয়া।

বিএনপির গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া রবিবার জানান, বেগম খালেদা জিয়া সোমবার স্বাস্থ্যগত কারণে আদালতে উপস্থিত হবেন না। এর আগে গত ৩ আগস্ট আদালতে খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বাদী হারুন-অর-রশিদকে জেরা করছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। এরপর আদালত ১০ আগস্ট সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অন্যদিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান জামিনে আছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।

এদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় আরও একটি মামলা করে দুদক।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আসামি মোট ছয়জন। খালেদা ছাড়া অন্য পাঁচজন হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক, বাকিরা জামিনে আছেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত