সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ জুলাই, ২০১৯ ১৪:২০

এরশাদের মৃত্যুতে প্রতিক্রিয়াহীন বিএনপি

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি বিএনপি।

রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা জানেন যে, আমাদের চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য বিভাগীয় সমাবেশগুলো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১৮ তারিখ বরিশাল, ২০ তারিখ চট্টগ্রাম- এসব নিয়ে আমরা ব্যতিব্যস্ত। কয়েকদিন পরে জানাব।

স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময় রিজভী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি এবং কিছুদিন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতিও ছিলেন। ওই সময় এরশাদবিরোধী বিক্ষোভে রাজশাহীতে গুলিবিদ্ধ হন রিজভী।

নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের সময়ে ঢাকা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি বর্তমানে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবুল খায়ের ভুঁইয়া ও সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের নেতা ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক বর্তমানে দলের যুগ্ম সাংগঠনিক খায়রুল কবির খোকন উপস্থিত ছিলেন।

তারা বলেন, স্বৈরাচারবিরেোধী আন্দোলনের ওই সময়ে নিপীড়ন-নির্যাতনের মাত্রাটা সবচেয়ে বেশি আমাদেরই বহন করতে হয়েছিল। সে দিনগুলো স্মরণ করলে এখন শিহরিত হয়ে উঠতে হয়। আমরা এখন আমাদের নেত্রীর মুক্তি দিয়ে ব্যস্ত। অন্য কিছু নিয়ে ভাবনার সময় এখন নেই।

সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার বিষয়ে রুহুল কবির রিজভী বলেন, স্বাধীন বিচারকর্মের কারণে একজন প্রধান বিচারপতিকে প্রাণভয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে। এখন তার বিরুদ্ধে নতুন করে যে মামলা দেওয়া হয়েছে, তা গোটা বিচার বিভাগের জন্য সরকারের সর্তক সঙ্কেত।

তিনি বলেন, বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ঘোর বিরোধী সর্বময় কর্তৃত্বের অধিকারী শেখ হাসিনা গায়ের জোরে বেগম জিয়াকে আটকিয়ে রেখেছেন। দেশের কৃষক-শ্রমিক-শিক্ষক-চিকিৎসক-প্রকৌশলী-সাংবাদিক সকলেই দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সোচ্চার। দেশের সকল জনগোষ্ঠী তার মুক্তি চায়। শারীরিকভাবে ভীষণ অসুস্থ দেশনেত্রীকে এই মুহূর্তে মুক্তি দিতে হবে।

রিজভী বলেন, বর্তমান মধ্যরাতের সরকারের কৃপাধন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারের পক্ষভুক্ত হওয়ার কারণে এরা এখন মানুষের নাগরিক স্বাধীনতার প্রতিপক্ষ। সরকার ঢাকার নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে শুরু করে দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ক্রীতদাসের মতো পণ্যে পরিণত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। শাশ্বত গণতন্ত্র ও রাষ্ট্রীয় সংবিধানেও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা স্বীকৃত। কিন্তু পুলিশ মিছিল দেখলেই নেতাকর্মীদেরকে ছোঁ মেরে তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার বাণিজ্যে মেতে উঠেছে।

তিনি আরও বলেন, থানায় গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তিসহ রিমান্ড পাওয়া না পাওয়া নিয়ে দরকষাকষি করা হয়। টাকা দিতে না পারলে জটিল মামলা দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। বিএনপি নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদেরকে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর সৃষ্টি হয় এক বিষাদ ঘনঘোর পরিস্থিতি। পুলিশ স্টেশনগুলো যেন এখন দাসবাজারে পরিণত হয়েছে। আর এই দাসরা হচ্ছেন বিএনপিসহ সাধারণ জনগণ।

বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের আহ্বানও জানান রিজভী।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত