০৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৯:৪৬
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার পদে বসতে যাচ্ছেন তার ভাই জিএম কাদের। জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বিরোধীদলীয় হিসেবে ঘোষণা করতে স্পিকার ড . শিরিন শারমিন চৌধুরীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
জাপার একাধিক সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে স্পিকারের কার্যালয়ে চিঠি পৌঁছে দেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ এমপি। তখন স্পিকার কার্যালয়ে ছিলেন না। স্পিকারের একান্ত সচিব কামাল বিল্লাহ চিঠিপ্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
জাপার ২৫ এমপির ১৫ জন জিএম কাদেরকে সমর্থন স্বাক্ষর করেছেন চিঠিতে। জাপার সূত্র জানিয়েছে, জাপার বাকি ১০ এমপির মধ্যে আরও দুইজনের সমর্থন রয়েছে জিএম কাদেরের পক্ষে। বাকিরা এরশাদপত্নী রওশন এরশাদের পক্ষে। তিনি বিরোধীদলীয় উপনেতা পদে বহাল থাকছেন বলে নিশ্চিত করেছে জাপা সূত্র।
এরশাদের মৃত্যুর পর জাপার এমপির সংখ্যা ২৫। নিয়মানুযায়ী, বিরোধীদলীয় নেতা হতে ১৩ জন এমপির সমর্থন প্রয়োজন জিএম কাদেরের। জাপার গঠনতন্ত্রের ২২ ধারা অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হবেন এমপি নির্বাচিত হলে পদাধিকারবলে সংসদীয় দলের প্রধান। ২০১৬ সালের কাউন্সিলে এ ক্ষমতা দেওয়া হয় চেয়ারম্যানকে।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অভাবনীয় ফল করে বিএনপিকে পিছনে ফেলে ২২ আসন পেয়ে প্রধান বিরোধী দল হয় জাপা। সংরক্ষিত মহিলা আসনের চারটি ভাগে পায় জাপা। বিএনপিবিহীন দশম সংসদেও প্রধান বিরোধীদল ছিল জাপা। সেবার মন্ত্রী পদমর্যাদার বিরোধীদলীয় নেতার পদে বসেন রওশন এরশাদ।
একাদশ নির্বাচনের পর স্ত্রীকে সরিয়ে নিজেই বিরোধীদলীয় নেতা হয়েছিলেন এরশাদ। জিএম কাদেরকে উপনেতা নিয়োগ করেন। আড়াই মাসের মাথায় এ সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন। গত ২২ মার্চ জিএম কাদেরকে সরিয়ে উপনেতা করেন রওশন এরশাদকে।
গত ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুর পর জাপার চেয়ারম্যান হন জিএম কাদের। তাকে এ পদে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বিবৃতি দেন রওশন এরশাদ। দেবর-ভাবীর দ্বন্ধে প্রশ্ন ছিল, কে হবেন বিরোধীদলীয় নেতা।
মঙ্গলবার দুপুরে জিএম কাদের সাংবাদিকদের বলেন, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সংসদ অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন- এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংসদীয় দল।
আপনার মন্তব্য