সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৬:১৪

খোকা-আব্বাস-ফালু ক্যাসিনো সংস্কৃতির হোতা: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ক্যাসিনো সংস্কৃতি বিএনপি আমলেই শুরু করা হয়েছে। সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস, মোসাদ্দেক হোসেন ফালুরা এগুলো শুরু করেছিলেন। তখন ক্ষমতার শীর্ষ পর্যায় এগুলোর সঙ্গে যুক্ত ছিল। তাই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজশাহী সার্কিট হাউসে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, এখন কে কোন দলের বা মতের তা না দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সেখানে যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষে সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমিতে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটি আয়োজিত ‘গৌরবের অভিযাত্রায় ৭০ বছর, তারুণ্যের ভাবনায় আওয়ামী লীগ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান আছে। সেখানে যোগ দিতে যাওয়ার আগে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।

হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক-অনিয়মের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছেন। কে কোন দলের বা মতের দেখা হচ্ছে না। অন্যদিকে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন শীর্ষপর্যায় থেকে অনিয়ম-দুর্নীতি করা হয়েছে। হাওয়া ভবন তৈরি করে প্রত্যেক ব্যবসায় শতকরা ১০ ভাগ কমিশন নেওয়া হতো। তারেক রহমানের ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এফবিআই এসে সাক্ষ্য দিয়ে গেছে।

ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে এত দিন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ব্যবস্থা যে আগেও নেওয়া হয়নি তা নয়। ব্যবস্থা আগেও নেওয়া হয়েছে। এখন একেবারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে।

হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে নিউজ এসেছে, জি কে শামীম প্রতি মাসে ১ কোটি টাকা করে তারেক রহমানকে দিত। বিএনপির অনেক নেতাকেও তিনি পয়সা দিত। অর্থাৎ এই যে ক্যাসিনো কালচার যারা শুরু করেছিল, তারাও নিয়মিত মাসোহারা পেত। আমরা কে কোন দলের বা মতের সেটি না দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ শুরু করেছি।

তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।

তিনি বলেন, চলমান এই অভিযান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়। আওয়ামী লীগ স্বচ্ছ-পরিচ্ছন্ন একটি দল। আমরা সব সময় পরিচ্ছন্ন রাজনীতিতে বিশ্বাস করি। আজকেও পত্র-পত্রিকায় দেখলাম, সাতজন নামকরা, যাদের নাম বেরিয়ে এসেছে তাদের ছয়জনই অনুপ্রবেশকারী। এরা আওয়ামী লীগের নয়। এরা মির্জা আব্বাসের সৃষ্টি, অথবা কোকোর সৃষ্টি- এদের সৃষ্টি। এই দানবগুলোকে তো এখন ধরা গেছে।

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ২০১৪ সাল থেকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকার বিষয়টি অবহিত করা হলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা বলেন, আমি বিষয়টি প্রথম শুনলাম। অন্য কোথাও এমন নিষেধাজ্ঞা আছে কি না আমি জানি না। আমি এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব। নিশ্চয় কারণটা জানতে পারব। তখন এ বিষয়টির সমাধান হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত