সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ অক্টোবর, ২০১৯ ২২:৫৮

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে মৌলবাদের উত্থান ঘটবে

মন্তব্য রাশেদ খান মেননের

পুরনো ছবি

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ হলে দেশে মৌলবাদের উত্থান ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যা-খুনের রাজনীতি চলছে। এটা বন্ধ করতে হবে। কিন্তু তার অর্থ নয় যে, ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা ছাত্র রাজনীতির প্রোডাক্ট। আমি ছাত্র রাজনীতি করেছি। তোফায়েল আহমেদ, আমির হোসেন আমু ছাত্র রাজনীতি করেছেন। শেখ হাসিনা ছাত্র রাজনীতি করেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। কিন্তু আজ মাথাব্যথার জন্য মাথাই কেটে ফেলার দাবি উঠছে। আমরা এটা মানতে রাজি নই।

শুক্রবার বিকেলে ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলার ১৩তম সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। নগরীর আন্দরকিল্লায় যাত্রা মোহন (জেএম) সেন হলে এ সম্মেলন হয়।

বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ড নিয়ে ছাত্রদের ক্ষোভের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে মেনন বলেন, সারাদেশের ছাত্ররা আজ বিক্ষোভমুখর। সহপাঠীর জন্য বেদনাবোধ থেকে তারা রাস্তায় নেমেছে। আমি বিশ্বাস করি, সরকার আবরার হত্যার বিচার সঠিকভাবে করবে, এতে যেন কোনও ভুল না হয়।

তিনি আরও বলেন, যখন দেখি বিএনপি-জামায়াত আবরার হত্যাকে রাজনীতিকরণ আর ধর্মীয়করণ করছে, তখন বুঝতে হয় ডাল মে কুচ কালা হ্যায়। ভিন্নমতের জন্য পিটিয়ে হত্যা যেমন গণতন্ত্রের জন্য ভয়ঙ্কর, একইভাবে মৌলবাদীদের উত্থান শুধু গণতন্ত্রের জন্য নয়, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের জন্য আরও ভয়ঙ্কর।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, বর্তমানে যে অভিযান চলছে তার মাধ্যমে যারা বড় বড় প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, বিদেশে হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে হবে। এ সময় ভারতের সঙ্গে পানি চুক্তি নিয়ে বিএনপি-জামায়াত ও সিপিবির সমালোচনা করেন তিনি।

ওয়ার্কার্স পার্টি চট্টগ্রাম জেলা কমিটির সভাপতি আবু হানিফের সভাপতিত্বে এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনায় সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন- ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিরুল হক আমিন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, যুবমৈত্রীর সভাপতি কায়সার আলম, ছাত্রমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক এসএম আলাউদ্দিন প্রমুখ।

জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন রাশেদ খান মেনন। পরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত