সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ১৬:৪২

এরশাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে উকিল নোটিস

প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পদকে ‘লাভজনক’ পদ অভিহিত করে এ পদে থাকায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সংসদ সদস্য পদ বাতিল চেয়ে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন কল্যাণ পার্টির এক নেতা।  

কল্যাণ পার্টি বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক দল। কল্যাণ পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক মুবিনুল হক এরশাদের বিরুদ্ধে এ নোটিস পাঠিয়েছেন।

সংবিধানের ৬৬ (২), ৬৬ (৪) এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২ (১) অনুচ্ছেদ অনুসারে এরশাদের সদস্য পদ বাতিলের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মুবিনুল হকের এই নোটিসে।

সোমবার পাঠানো এই নোটিসে কল্যাণ পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক মুবিনুল হক বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত পদটি লাভজনক। সংবিধান ও গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুসারে লাভজনক পদে থেকে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ সংসদ সদস্য পদে থাকবার যোগ্যতা হারিয়েছেন।”

এদিকে, নোটিসটি আমলে নেওয়া হচ্ছে না জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. শাহজাহান বলেন, “এ বিষয়ে কমিশনের কিছুই করার নেই। সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে যেতে পারেন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের পদটি লাভজনক কি না তা আদালতে নির্ধারিত হতে হবে। লাভজনক পদের সংজ্ঞাও আইনে নির্ধারিত রয়েছে।”

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের অনুচ্ছেদ ১২-এ লাভজনক পদের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, “সরকারি বা সংবিধিবদ্ধ সংস্থায় ‘ফুলটাইম সার্ভিস’ পদধারীরা লাভজনক পদে অধিষ্ঠিত বলে গণ্য হবে।”

কল্যাণ পার্টির নেতা মুবিনুল হক বলেন, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৬৬ (৩)  রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ছাড়া অন্য সব পদ লাভজনক বিবেচিত হবে। এক্ষেত্রে জাপা চেয়ারম্যান ‘সুষ্পষ্টভাবে সংবিধান ও আইন লঙ্ঘন’ করেছেন।

“নির্বাচন কমিশন আমার লিগ্যাল নোটিস আমলে না নিলে আদালতের শরণাপন্ন হব। বিরোধী দল এখন মন্ত্রীসভায়ও রয়েছে। দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার স্বার্থেই এ আইনি প্রতিকার চাইছি আমি।”

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনে অনেক নাটকীয়কতার মধ্যে সিএমএইচে থাকা অবস্থায় রংপুর-১ আসনের সাংসদ নির্বাচিত হন সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ।

মনোনয়নপত্র দাখিলের পর এক পর্যায়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিলেও বিজয়ী হয়ে তিনি সাংসদ হিসেবে শপথ নেন এবং মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূতের দায়িত্ব পান।

সে সময় তিনি বলেছিলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হয়ে নিজে কোনো সুযোগ-সুবিধা চাচ্ছি না। আমার সরকারি গাড়ি-বাড়িরও প্রয়োজন নেই। একজন সংসদ সদস্য হিসেবে আমার যেটুকু সুযোগ সুবিধা প্রাপ্য সেটুকু ভোগ করেই আমি বিশেষ দূতের দায়িত্ব পালন করতে চাই।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত