নিজস্ব প্রতিবেদক

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ০০:০৪

কে হচ্ছেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক?

কে হচ্ছেন সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক?- সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গণে এখন এই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। জেলা পরিষদের প্রশসক আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ানের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া এ পদ আসীন হতে সরকার দলীয় অনেক রাজনৈতিক নেতাই তৎপরতা শুরু করেছেন। ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলের অনেক নেতার নামও এই পদের জন্য আলোচিত হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুক্তযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী এবং জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদের নাম জেলা পরিষদের প্রশাসক পদের জন্য আলোচিত হচ্ছে।

এই নেতাদের কেউ কেউ প্রশাসক হওয়ার জন্য তদবির-লবিং চালাচ্ছেন বলেও জানা গেছে। তাদের অনুসারীরাও ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিজেদের নেতাদের পক্ষে প্রচারণা চালিয়ে দলের শীর্ষমহলের দৃষ্টি কাড়ার চেষ্টা করছেন।

জেলা প্রশাসক হতে ইচ্ছুক নেতাদের কেউ কেউ ঢাকায় গিয়েও লবিং চলাচ্ছেন বলেও জানা গেছে।

তবে এঁদের প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই সিদ্ধান্ত নেবেন। তাঁর সিদ্ধান্ত সকলেই মেনে নেবেন বলেও জানিয়েছেন প্রশাসক পদ প্রত্যাশীরা।

জানা যায়, শেখ হাসিনা জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দিতে এ সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র যাবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে আসার পরই সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক চূড়ান্ত করবেন। আগামী মাসে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে দলীয় একটি সূত্র।

গত ১০ সেপ্টম্বর মৃত্যুবরণ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিলেট জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান। সুফিয়ানের মৃত্যুতে শূন্য হয়ে পড়ে জেলা পরিষদের প্রশাসক পদ।

আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জেলা পরিষদের প্রশাসক হওয়ার দৌড়ে মাসুক উদ্দিন আহমদ ও শফিকুর রহমান চৌধুরীই এখন পর্যন্ত এগিয়ে আছেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাওয়া একটি সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও আছে এই দু'জনের নাম।

এ ব্যাপারে জাসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এই পদের জন্য অনেকে বিভিন্ন মাধ্যমে আমার নাম উত্থাপন করেছেন। আশা করছি, প্রশাসক চুড়ান্ত করার ক্ষেত্রে ১৪ দলীয় জোটের ঐক্য ও বৃহত্তর স্বার্থের দিকটি বিবেচনায় নেওয়া হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। এখানে প্রচরণা চালানো বা তদবিরের কিছু নেই।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, বিভিন্ন মাধ্যম থেকে এই পদের জন্য আমার নামও উত্থাপিত হয়েছি বলে শুনেছি। নেতাকর্মীরাও চাচ্ছেন। আমি এখনো এ ব্যাপারে কাউকে বলিনি। এখন প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনার বিষয়।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ বলে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিসবাহউদ্দিন সিরাজ সিলেটটুডে টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেলা প্রশাসকের প্রশাসক পদের জন্য অনেকের নামই শোনা যাচ্ছে। কেউ কেউ চেষ্টাও চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে এখনো কোনো চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত