জাকির জাহামজেদ

২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ ০০:১২

ভয়াল ২৪ সেপ্টেম্বর: ৩ খুনে সিলেটে উত্থান ঘটেছিলো জামায়াত-শিবিরের

একই দিনে তিনটি হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সিলেটের রাজপথ ও ছাত্র রাজনীতিতে আধিপত্য বিস্তারে নিজেদের অস্তিত্বের ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। ১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর মধ্যযুগীয় কায়দায় তারা হত্যা করে তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতা ও জাসদ ছাত্রলীগের তিন তুখোড় কর্মী মুনির ই কিবরিয়া, তপন জ্যোতি দেব এবং এনামুল হক জুয়েলকে।

বারবার চেষ্টা করেও সিলেটের ছাত্র রাজনীতির মাঠে নিজেদের কোনো অবস্থান সৃষ্টি করতে না পেরে শিবির এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে ক্যাম্পাসগুলো দখল করে বলে জানিয়েছেন সিলেটের তৎকালীন ছাত্রনেতারা।

সিলেটের ছাত্র রাজনীতির মাঠে তখন বাম ধারার ছাত্র সংগঠন, বিশেষ করে জাসদ ছাত্রলীগের অবস্থান ছিল অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর থেকে বেশি শক্তিশালী। ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেটে প্রকাশ্যে তাদের রাজনীতি শুরু করতে গেলে একাত্তরের চেতনায় সমৃদ্ধ সিলেটের ছাত্রসমাজের বাঁধার মুখে পড়ে। বিশেষ করে প্রগতিশীল ধারার ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গড়ে ওঠা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের তৎপরতার কারণে তাদের সব উদ্যোগ ভেস্তে গেলে একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা ১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর একই দিনে হত্যা করে প্রগতিশীল ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতাকর্মী মুনির, তপন ও জুয়েলকে।

সিলেটে পরাজিত শক্তির রাজনৈতিক উথান
আশির দশকের মাঝামাঝি সময় থেকে সিলেটে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন তুঙ্গে উঠতে শুরু করেছে তখনই সিলেটের রাজনীতির মাঠে প্রথম প্রকাশ্যে আবির্ভূত হয় ইসলামী ছাত্রশিবির। এর আগে গোপনে তাদের কার্যক্রম চললেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভাস্বর সিলেটের জনতার সামনে তারা প্রকাশ্য রাজনীতি করার সাহস পায়নি। কিন্তু চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা, রাজশাহীর মতো দেশের বড় বড় শহরগুলো দখলের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা সিলেটেও নির্দিষ্ট ছক বেঁধে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিবির ক্যাডারদের সিলেটে নিয়ে আসা হয় বলে তখনকার অনেক ছাত্রনেতা জানিয়েছেন। কিন্তু সিলেটের প্রগতিশীল ছাত্রদের প্রতিরোধের মুখে কোনো ক্যাম্পাসেই তাদের পক্ষে প্রকাশ্য তৎপরতা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। এ সময় শিবির গ্রামভিত্তিক রাজনীতি শুরু করে। সিলেটকে তারা কয়েকটি এলাকায় ভাগ করে শুরু করে এলাকাভিত্তিক রাজনীতি। সিলেট নগরীর চতুর্দিকে তারা তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানোর পাশাপাশি নিজেদের জনবল বাড়াতে শুরু করে।

অন্যদিকে নগরীর কেন্দ্রস্থলে আলিয়া মাদ্রাসা দখল করে ছাত্রশিবির গড়ে তোলে নিজেদের প্রশিক্ষণ ক্যাম্প। আলিয়া মাদ্রাসার পার্শ্ববর্তী পায়রা আবাসিক এলাকায় অনেকগুলো ছাত্র মেস তৈরি করে তারা সব শিবির কর্মীকে সেখানে জমায়েত করতে থাকে। আলিয়া মাদ্রাসার মধ্যে অন্য কোনো প্রগতিশীল সংগঠনের কার্যক্রম না থাকায় তারা মাদ্রাসা ক্যাম্পাসকে দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করে প্রশিক্ষণ চালাতে থাকে। আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে সিলেটে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন যখন ফুঁসে উঠছে তখন শিবির নগরীর কলেজগুলোতে নিজেদের অবস্থান তৈরির জন্য প্রকাশ্যে তৎপরতা শুরু করে। কিন্তু প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো নগরীর কলেজগুলোতে শিবিরের সাংগঠনিক তৎপরতা মেনে নিতে পারেনি। ইসলামী ছাত্রশিবিরকে প্রতিরোধ করার জন্য বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে সিলেটে গঠন করা হয় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।

সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদে তখন ছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, জাসদ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয় ছাত্রদল ও জাতীয় ছাত্রলীগ।

নিরবচ্ছিন্ন চেষ্টার পরেও সিলেট শহরের রাজনীতিতে অবস্থান নিতে না পেরে ইসলামী ছাত্রশিবির তখন শহরতলির বরইকান্দি এলাকায় সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে নিজেদের সাংগঠনিক তৎপরতা শুরু করে। সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে স্থানীয় ছাত্রদের চেয়ে সিলেটের বাইরের ছাত্রদের ভর্তি হার বেশি থাকায় শিবির বিভিন্ন জেলা থেকে তাদের ক্যাডারদের নিয়ে এসে এখানে ভর্তি এবং নিজেদের একটি অবস্থান তৈরি করে ফেলে।

১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে সিলেটের ছাত্র রাজনীতি। বিপুল অর্থ ব্যয় করে ছাত্রশিবির পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে নিজেদের প্যানেলের পক্ষে প্রচারণার মাধ্যমে প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু করে। সিলেট শহরের গুরুত্বপূর্ণ শহরতলিতে ছাত্রশিবিরের এই আকস্মিক প্রকাশ্য উথান চিন্তিত করে সিলেটের সব প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোকে। সিলেটের স্থানীয় ছাত্রনেতারা তাই পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংসদ নির্বাচনকে গুরুত্বের সঙ্গে নেন এবং শহরের ছাত্র সংগঠনগুলোর দৃষ্টি তখন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে নিবদ্ধ হয়। এই সুযোগে শিবির তখন সিলেট শহরের কলেজ ক্যাম্পাসগুলোতে তাদের ক্যাডার শক্তি বৃদ্ধি করে দখলের পরিকল্পনা নেয়। নির্বাচন নিয়ে যখন দক্ষিণ সুরমায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে, সেই সময়ে এমসি কলেজে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রশিবির। এ ছাড়া ছাত্রশিবির তখন নগরীতে সশস্ত্র মিছিল বের করে।

সেপ্টেম্বরের ১৯ ও ২০ তারিখেও ছাত্রশিবির এমসি কলেজে সশস্ত্র অবস্থান নিয়ে ফেলে এবং ছাত্রলীগকে তারা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি, আর যে দুই-একজন ক্যাম্পাসে ঢুকতে সক্ষম হয়েছিল, তাদেরও মারধর করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় নগরীর সরকারি কলেজ ও মদনমোহন কলেজেও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাই কলেজ কর্তৃপক্ষ অনাকাঙ্খিত ঘটনা এড়ানোর জন্য তিনটি কলেজ দুইদিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে। ২০ সেপ্টেম্বর ছিল সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ছাত্র সংসদের নির্বাচন। নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের ব্যাপক ভরাডুবি হয় এবং সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ছাত্র সংসদের ১৫টি পদের সবগুলোতে জয়লাভ করে। পলিটেকনিক নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে ইসলামী ছাত্রশিবির বেপরোয়া হয়ে ওঠে।

এই সময় সিলেটে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনও শক্ত অবস্থানে ছিল, বারবার চেষ্টা করে জাতীয় পার্টি স্বস্তি নিয়ে সিলেট শহরে প্রকাশ্য কোনো কার্যক্রম চালাতে পারছিল না। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের মূল শক্তি ছাত্র সংগঠনগুলোকে দমাতে তাই এরশাদ সরকার এ সময় শিবিরকে ব্যবহার করা শুরু করে।

২০ সেপ্টেম্বর থেকে শিবির পুলিশ পাহারায় শহরে ও ক্যাম্পাসগুলোতে প্রকাশ্যে সশস্ত্র মিছিল করে, অন্যদিকে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাদের বাসায় বাসায় ব্যাপক পুলিশি তল্লাশি শুরু হয়।

তখনকার সময়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের শীর্ষস্থানীয় নেতা, তৎকালীন জাসদ ছাত্রলীগ সভাপতি ও বর্তমানে সিলেট মহানগর জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির আহমদ বলেন, ‘ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ তখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজপথ কাঁপাচ্ছে। ইসলামী ছাত্রশিবির সিলেটে নিজেদের অবস্থান নেওয়ার জন্য এই সময়টাকেই বেছে নেয়। আমরা সেই সময়ে শিবিরের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলাম, কিন্তু স্বৈরাচার সরকার আর তার লালিত পুলিশ বাহিনীর কারণে আমাদের পক্ষে গ্রেফতার এড়িয়ে শহরে অবস্থান করাই সম্ভব হচ্ছিল না। এ সময় শিবিরের মিছিলের সামনে ও পেছনে পুলিশের গাড়ি দিয়ে নিরাপত্তা দেওয়া হতো।’

১৯৮৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর যা ঘটেছিল

২৪ সেপ্টেম্বর ভোরে ছাত্রশিবির কর্মীরা এমসি কলেজে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ক্যাম্পাস দখল করে নেয়। বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ও সাধারণ ছাত্ররা ক্যাম্পাসে ঢুকতে না পেরে কলেজের আশপাশে জড়ো হতে শুরু করে। এ ছাড়া সিলেট আলিয়া মাদ্রাসাকে নিজেদের হেডকোয়ার্টার বানিয়ে ছাত্রশিবির নগরীর বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি, মোটরসাইকেল ও টেম্পোযোগে সশস্ত্র মহড়া দিতে শুরু করে। শিবিরের এই আকস্মিক ক্যাম্পাস দখলের ফলে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করা সম্ভব হচ্ছিল না। তাঁরা কলেজের আশপাশে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছিলেন। তখন আলিয়া মাদ্রাসা থেকে টেম্পোযোগে একদল সশস্ত্র কর্মী নগরীর শাহী ঈদগাহ এলাকায় জড়ো হওয়া জাসদ ছাত্রলীগের কর্মীদের ওপর চারপাশ থেকে সশস্ত্র হামলা চালায়। মুনিরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে কোপাতে তারা রাস্তার পাশে ফেলে রাখে। তপনকে ধরে রেখে বাকিরা পাথর দিয়ে তার শরীর থেতলে দেয়। আক্রমণ শেষে শিবির ক্যাডাররা টেম্পো ও মোটরসাইকেল নিয়ে চলে গেলে স্থানীয় এলাকাবাসী মুমূর্ষু অবস্থায় মুনির ও তপনকে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। একই সময়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতারা এমসি কলেজে প্রবেশে করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে।

অথচ কলেজ ক্যাম্পাসে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থানরত ছাত্রশিবির কর্মীদের পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে নিরাপদে রাখা হয়। একপর্যায়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কাছে মুনির, তপনের উপরে ছাত্রশিবির শাহী ঈদগাহ এলাকায় হামলা করেছে এই খবর পৌঁছালে টিলাগড়ে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। একপর্যায়ে তাঁদের চাপের মুখে পুলিশ প্রহরায় শিবির ক্যাডাররা এমসি কলেজ ত্যাগ করে।

এই বিষয়ে বলতে গিয়ে সিলেট মহানগর জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট জাকির আহমদ বলেন, ‘দৃশ্যটা ছিল এ রকম, শিবির মিছিল করে যাচ্ছে, তাদের সামনে ও পেছনে পুলিশের গাডড়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মিছিল তখন পাহারা দিচ্ছে আইনের লোকজন।’

শিবিরের এই মিছিল থেকেই পরবর্তী সময়ে নগরীর আম্বরখানায় স্কুলছাত্র এনামুল হক জুয়েলকে ধাওয়া করা হয়। জুয়েলের জন্য শিবির স্কুলগুলোতে তাদের কার্যক্রম চালাতে পারছিল না বলে তার ওপর তাদের ক্ষোভ ছিল। অস্ত্রধারী শিবির ক্যাডারদের ধাওয়া খেয়ে স্কুলছাত্র জুয়েল তখন দৌড়ে একটা মার্কেটের ছাদে উঠে যায়। অস্ত্র নিয়ে তার পেছনে পেছনে ধাওয়া করতে থাকে শিবিরের সন্ত্রাসীরা। শিবিরের ধাওয়া খেয়ে নিরুপায় জুয়েল কোনো রাস্তা খুঁজে না পেয়ে মার্কেটের এক ছাদ থেকে পার্শ্ববর্তী ছাদে লাফ দিতে গিয়ে নিচে পড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

এদিন ইসলামী ছাত্রশিবির পুলিশের সহায়তা নিয়ে নগরীর নানা স্থানে স্বাধীনতার পক্ষের ছাত্র সংগঠনগুলোর কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালায়। স্কুলছাত্র এনামুল হক জুয়েলের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে নগরী উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষুব্ধ ছাত্র, জনতা সিলেট নগরীজুড়ে জামায়াত-শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে মুনির ই কিবরিয়া ও তপন জ্যোতি দেব মারা গেলে বৃহত্তর সিলেটজুড়ে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। নিহতদের স্বজন, ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে সিলেটের বাতাস।

মুনির, তপন ও জুয়েলকে হত্যা করার মাধ্যমে জামায়াত-শিবির সিলেটে তাদের বর্বরোচিত ও পৈশাচিক রাজনীতির সূচনা করে। এই তিন হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমেই সিলেট শহরে ছাত্র হত্যার রাজনীতি শুরু হয়।

কেউ মনে রাখে কেউ রাখে না
২৭ বছর আগে মুনির, তপন ও জুয়েলের লাশ ডিঙিয়ে সিলেটের মাটিতে প্রকাশ্য রাজনীতির যাত্রা শুরু করে জামায়াত-শিবির চক্র। সময়ের স্রোতে এবং বিশেষ করে বিএনপির সঙ্গে জোট বাঁধার সুবিধা নিয়ে এই চক্র এখন সিলেটে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে।

সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যের বড় অংশই এখন নিয়ন্ত্রিত হয় জামায়াত নেতাদের তত্ত্বাবধানে। নগরের বড় বড় শপিং মল, আবাসন প্রকল্প, অনেকগুলো হাসপাতাল, ক্লিনিক, মেডিক্যাল কলেজ, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, কমিউনিটি সেন্টার এখন জামায়াত-শিবিরের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে। অথচ মুছে যাচ্ছে মুনির, তপন ও জুয়েলের নাম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত