সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০১ অক্টোবর, ২০১৬ ১৬:৩৫

রামপাল প্রকল্প বাতিলের দাবিতে সিলেটে বাসদের মিছিল-সমাবেশ

সুন্দরবনের রামপালে ভারতের এনটিপিসি কোম্পানি কর্তৃক কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের সিলেটে প্রতিবাদে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সিলেট জেলা।

শনিবার সকাল ১১টায় নগরীতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।মিছিলটি সিলেটের শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে শিশু পার্কের সম্মুখে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

বাসদ (মার্কসবাদী) সিলেট জেলার সদস্য এডভোকেট হুমায়ুন রশীদ সোয়েবের সভাপতিত্বে এবং সুশান্ত সিনহার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাসদ (মার্কসবাদী ) সিলেট জেলার সদস্য রেজাউর রহমান রানা, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মুখলেছুর রহমান, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সধারণ সম্পাদক রুবাইয়াৎ আহমেদ প্রমুখ।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সুন্দরবন পৃথিবীর একমাত্র ‘ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট’ যা বাংলাদেশের ফুসফুস হিসেবে খ্যাত। সম্প্রতি ‘বাংলাদেশ ও ভারত’ সরকারের যৌথ উদ্যোগে সুন্দরবনের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চুক্তি হয়েছে। দেশে-বিদেশের নানা সংগঠন, সমস্ত শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষ এমনকি ইউনেস্কো এবং জাতিসংঘও এই বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। তারপরও সরকার তার অবস্থানে অটল। সরকার কারো কোন যুক্তি না শুনে সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক পন্থায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।

বক্তারা বলেন, সুন্দরবনের ১৪ কি.মি. অদূরে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মিত হবে। বছরে ৪৭ লাখ টন কয়লা জাহাজ বোঝাই হয়ে সুন্দরবনের মাঝ দিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এর ফলে সুন্দরবনের পশুপাখি, বৃক্ষ, লতাপাতাসহ অসংখ্য প্রাণ এবং ইকো সিস্টেম ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে। জীবিকা হারাবে কয়েক লক্ষ মানুষ। যে ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে, সেই ভারতেই বনাঞ্চলের ২৫ কি.মি. এর মধ্যে এ ধরনের প্রকল্প নিষিদ্ধ। সম্প্রতি সেখানে একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া এই প্রকল্প হলে অর্থনৈতিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হবে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পে সিংহভাগ অর্থ খরচ করবে বাংলাদেশ, দেশের ভুমি ব্যবহার হবে কিন্তু উৎপাদিত বিদ্যুতের ৫০ ভাগ মালিকানা হবে ভারতের। ফলে যারা ভাবছেন এই প্রকল্প হলে বিদ্যুতের ছটায় গোটা দেশ আলোকিত হয়ে যাবে, উন্নয়নে ভেসে যাবে- তাদেরকে বিষয়টি একটু ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি।

সুন্দরবন রক্ষায় সকলের সম্মিলিত প্রতিরোধের মাধ্যমে সরকারের গণবিরোধী নীতি ও কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কার্যকর গণ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তারা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত