সিলেটটুডে ডেস্ক

১৯ জুন, ২০১৭ ০০:৪৩

দুঃশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করতে আন্দোলনের বিকল্প নেই : খন্দকার মুক্তাদির

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, জনসমর্থন হারিয়ে অবৈধ আওয়ামী সরকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। তারা আদর্শিক মোকাবেলায় ব্যার্থ হয়ে ক্ষমতার অপব্যাবহার করে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নির্মুলের ষড়যন্ত্র করছে। জনগনের ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেনা বলেই আওয়ামীলীগ বাকশাল কায়েম করেছিল। আজকের আওয়ামীলীগও সে পথে হাটছে। তারা সৃজনশীল রাজনীতিতে বিশ্বাস করেনা বিধায় জোর-জবর দখল, হামলা-মামলা প্রতিহিংসার রাজনীতির মাধ্যমে জাতির জন্য অভিশাপ হিসেবে আবির্ভুত হয়েছে।

আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় গিয়েছে গনতন্ত্র হত্যা করেছে, গনমাধ্যমের গলাটিপে ধরেছে উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, গনমাধ্যমের প্রতি তাদের ভয়াল থাবা জাতির জন্য অশনি সংকেত। এই অবস্থা চলতে দেয়া যাবেনা। ফ্যাসিস্ট সরকারের দিন ফুরিয়ে এসেছে। জাতি আওয়ামী অপশাসন থেকে মুক্তি পেতে আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। সময়ের ব্যাবধানে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করে সকল অপশাসনের দাতভাঙ্গা জবাব দিতে শহীদ জিয়ার সৈনিকদের অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকা পালন করতে হবে।

রোববার (১৮ জুন) সিলেট মহানগর বিএনপির ১৩, ১৪  ও ১৫ নং ওয়ার্ড আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন তিনি।

মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি ডা: নাজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও মহানগর যুগ্ম সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, সাধারন সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিম, সহ-সভাপতি এডভোকেট ফয়জুর রহমান জাহেদ।

আয়োজিত ইফতার মাহফিলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, আরাফাত রহমান কোকো’র রুহের মাগফেরাত, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা এবং দেশ জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনায় করেন হাফিজ মাওলানা হাসান আহমদ। নগরীর সোবহানীঘাটস্থ একটি কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।

ইফতার মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির শাহীন, সহ-সভাপতি সালেহ আহমদ খসরু, সহ-সভাপতি সিটি কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, সহ-সভাপতি ডা: নাজমুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বাবু নিহার রঞ্জন দাস, যুগ্ম সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন আহমদ মাসুক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক কাউন্সিলার সৈয়দ তৌফিকুল হাদী ও মুকুল মোর্শেদ, বিএনপি নেতা ডা. আশরাফ আলী, হাবিব আহমদ চৌধুরী শিলু, শেখ মুহাম্মদ ইলিয়াস আলী, মোতাহির আলী মাখন, মির্জা বেলায়েত হোসেন লিটর, মুফতী নেহাল উদ্দীন, এডভোকেট নজিবুর রহমান নজিব, বদরুদ্দোজা বদর, উজ্জল চন্দ্র নাথ, সৈয়দ আব্দুল হাদী মাসুম, তারেক আহমদ, সৈয়দ বাবুল, আমিন উদ্দীন, শুয়াইব আহমদ শুয়েব, ফয়েজ আহমদ শিপু, জিয়াউর রহিম দীপন, বেলাল আহমদ, সাখাওয়াত হোসেন শিপু, দিলোয়ার হোসেন রানা ও জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না প্রমুখ।
       

আপনার মন্তব্য

আলোচিত