সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আবু সাফায়াৎ মুহম্মদ শাহেদুল ইসলাম বলেছেন, বাংলা নববর্ষ বাঙালি সংস্কৃতির প্রাণের উৎসব। এটি আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। এ উৎসবে বাংলার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান-মুসলমানসহ সকল ধর্মাবলম্বীর মিলন ঘটে। মিলনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষ অসাম্প্রদায়িক উৎসব প্রকাশ পায়। মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামলে বাংলা সন প্রবর্তিত হয়। প্রবর্তনকালে সনটি ফসলি সন হিসেবে চিহ্নিত হলেও পরবর্তীকালে বাংলা সন বা বঙ্গাব্দ নামে পরিচিতি লাভ করে।

শুক্রবার (২০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চারুমেলা আর্ট স্কুলের উদ্যোগে বর্ষবরণ উপলক্ষ্যে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চারুমেলা আর্ট স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক দীপন দেবের সভাপতিত্বে হেপি আক্তারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক নিবাস রঞ্জন দাশ, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য এসএম নুনু মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক রোটারিয়ান সোহাদ রব চৌধুরী, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সহসাধারণ সম্পাদক এম. সাইফুর রহমান তালুকদার।

এ সময় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ। পরে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন অতিথিবৃন্দ। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল মালিক ও শাহীন আহমেদ।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান টিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান আবু তাহের চৌধুরী, আজকের সিলেট ডটকমের স্টাফ রিপোর্টার খছরুজ্জামান পারভেজ, বাংলাদেশের খবরের প্রতিবেদক তাওহীদ হোসেন রাসেল, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির সদস্য সোনিয়া বেগম ডেলি, উজ্জল আহমদ ভূঁইয়া, রিপন তালুকদার, হেপি আক্তার, ফাতেমা বেগম রানী, বুশরা বেগম অনন্যা, রুপক তালুকদার প্রমুখ।