সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

১০ জুলাই, ২০১৮ ১৫:৩৪

এসএমপি কমিশনার বরাবরে এসআইইউ শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি

সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসআইইউ) নিয়ে জটিলতা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার (এসএমপি) বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১০ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। স্মারকলিপিতেইউনিভার্সিটি নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান শিক্ষার্থীরা। এসময় পুলিশ কমিশনার পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (এসআইইউ) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৯২ (সংশোধিত ১৯৯৮) এর আওতায় সিলেটের স্বনামধন্য শিক্ষানুরাগী পরিবারের (গুলশান পরিবার) সদস্য কুতুব উদ্দিন আহমেদ (প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান) এর আবেদনের প্রেক্ষিতে গুলশানের পরিবারের সদস্যদের দ্বারা গঠিত ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রণালয়ের স্মারক নং- শিম/শাঃ১৪/৮ বেঃবিঃ-১১/২০০১/৫৯৬ তাং- ২৫/১১/২০০১ ইং এর পত্রের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁহাদের পারিবারিক সম্পত্তির উপর ২০০১ সালের শেষার্ধে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ব্যাপক সুনামের সাথে দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় নামমাত্র খরচে উচ্চ শিক্ষা প্রদান করে আসছে। ২০০৯ সালে কুতুব উদ্দিন আহমদ বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে গুলশান পরিবারের সদস্য কুতুব উদ্দিন আহমেদের একমাত্র ভাতিজা শামীম আহমেদ গুলশান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।

পরবর্তীতে সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২ (সংশোধিত -১৯৯৮) এর বিলুপ্তি ঘটিয়ে সম্পূর্ণ নতুনভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০ প্রণয়ন করলে সেই মর্মে প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নিমিত্তে একটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠনের বাধ্যবাধকতার শর্ত আরোপ করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন বিভিন্ন পত্রের মাধ্যমে জনাব শামীম আহমেদ, চেয়ারম্যান, “গুলশান ফাউন্ডেশন” গুলশান গার্ডেন, তালতলা, সিলেট-৩১০০ কে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট গঠন ও প্রতিষ্ঠার আদেশ ও নির্দেশ প্রদান করিলে সেই মর্মে উক্তরূপ ট্রাস্ট গঠন ও প্রতিষ্ঠার কাজে নিয়োজিত থাকাকালীন একটি বিশেষ সুবিধাবাদী মহল/গোষ্ঠী মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধীতাকারী সংগঠনের সক্রিয় সদস্যরা অত্র প্রতিষ্ঠানের স্থাপন, প্রতিষ্ঠা, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবস্থাপনা ও তত্ত্বাবধান সংক্রান্ত কার্যের কোন কিছুতে কোন ভাবেই জড়িত থাকার অস্তিত্ব না থাকলেও সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও প্রতারনামূলকভাবে জাল-জালিয়াতি ও যোগাযোগী পন্থায় সম্পাদিত “সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ট্রাস্ট” দলিল সম্পাদন করে।  

জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট এবং পরবর্তীতে যাহা যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাতিলকৃত ট্রাস্ট দলিলের বৈধতা নাই মর্মে ২০১৩ সালের মে মাসের ৭ তারিখে পত্র সূত্র নং- এস.আই.ইউ/৭/২০১৩/৭০৬ পত্র মারফত সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এবং চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে বিষয়টি অবহিত করিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় উক্ত ট্রাস্ট অবৈধ ও বে-আইনি ভাবে গঠিত মর্মে পত্র প্রদান করে এবং একই সঙ্গে অবৈধ ও বে-আইনি ভাবে গঠিত ট্রাস্ট দলিলটির সাথে সম্পৃক্তরা ছাড়াও অপকর্মের সহযোগীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের সুপারিশ করে। যার প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ফৌজদারি মামলা নং-৩৩/২০১২ তাং ১৩/১১/২০১২, থানা- কোতোয়ালী, সিলেট দায়ের করেন। কিন্তু অদ্যাবধি কোন আসামী গ্রেফতার হয়নি। আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় তারা বিভিন্ন সময় ভুয়া দানপত্র দলিল সৃষ্টি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক উপাচার্য নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাধা দানের চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।

এসআইইউ ছাত্র অধিকার আন্দোলন এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা এসময় অনতি বিলম্বে জালিয়াত চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত