সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

১০ জুলাই, ২০১৮ ১৮:১৪

সিলেট সদর উপজেলায় একডোর শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

সিলেটের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মুন্তাকিম বলেছেন, জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (একডো) কর্তৃক পরিচালিত এ শিক্ষা প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, এ ধরনের প্রকল্প এইসব পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শিশুদের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়া রোধ করার পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অভিভাবকদের সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে আরো যত্নবান হওয়ার তাগিদ দিয়ে তিনি আরো বলেন, মানুষের মত মানুষ হতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই, তাই সন্তানদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে ও বিদ্যালয়মুখী করতে হবে।   

এথনিক কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের (একডো) বাস্তবায়নে ‘প্রমোটিং এডুকেশন এ্যান্ড মাদার ট্যাং অব ইন্ডিজেনাস চিলড্রেন’ প্রকল্পের আওতায় সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর ইউনিয়নের আলাইবহর পাত্র গ্রাম ও লাক্কাতুরা চা বাগানে অনুষ্ঠিত পৃথক দু’টি শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ দু’টি অনুষ্ঠানেই প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল মুন্তাকিম।

আলাইবহর এডুকেশন সাপোর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত শিক্ষা উপকরণ বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সদর উপজেলার ৩ নং খাদিম নগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দেলওয়ার হোসেন, একডো’র নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ, ইউপি সদস্য নাজিম কামরান, স্থানীয় পাত্র সমাজকর্মী রনজিত পাত্র প্রমুখ।  

অপরদিকে লাক্কাতুরা এডুকেশন সাপোর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, একডোর নির্বাহী পরিচালক লক্ষ্মীকান্ত সিংহ এবং বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালির কার্যকরী পরিষদের সভাপতি রাজু গোয়ালা।

সভার শুরুতেই উপস্থিত অভিভাবকগণ একডো কর্তৃক এ শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার পর শিক্ষা বিষয়ে তাদের শিশুদের মধ্যে বর্তমানে লেখাপড়ার বিষয়ে যে ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে তার জন্য একডো’কে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় তারা আরো বলেন, বর্তমানে তাদের প্রতিটি শিশুর শিক্ষার মান উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সভায় আলাইবহরের পাত্র এবং লাক্কাতুরা চা বাগানের চা শ্রমিক জনগোষ্ঠীর পক্ষ থেকে তাদের শিশুদের লেখাপড়া নিশ্চিত করার জন্য নিজ নিজ এলাকায় একটি করে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করার জোর দাবি জানানো হয়। অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কুঞ্জ পাত্র ও নীলমণি পাত্র।

এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একডো ৬০ জন পাত্র এবং চা শ্রমিক  শিক্ষার্থীর নিকট স্কুল ব্যাগ, খাতা, পেন্সিল, কলমসহ অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন একডো’র সমন্বয়কারী নোংপকলৈ সিনহা।

উল্লেখ্য, একডো হেই ভারডেন নামক একটি আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার সহযোগিতায় পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন আদিবাসী জনগোষ্ঠীর শিশুদের নিয়ে এ শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।


আপনার মন্তব্য

আলোচিত