সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

১১ অক্টোবর, ২০১৮ ১৮:৫৯

আদিবাসী কোটা বহালের দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

১ম ও ২য় শ্রেণি সরকারি চাকরিতে ৫% আদিবাসী কোটা পুনর্বহালের দাবিতে বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ছাত্র ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে সিলেটে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ছাত্র ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক শুভ কুমার সিংহের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ মনিপুরী ছাত্র পরিষদ কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক কিরণ সিংহের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মনিপুরী সমাজকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমলবাবু সিংহ, সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি নির্মল কুমার সিংহ, সাধারণ সম্পাদক সংগ্রাম সিংহ, বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ছাত্র ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব শোভন চাকমা, অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস-সাস্ট এর সদস্য সৌরভ চাকমা, রূপেল চাকমা, বাংলাদেশ মনিপুরী ছাত্র পরিষদের সহসভাপতি রুমা সিনহা, মনিপুরী মৈতি ছাত্র ছাত্র প্রতিনিধি জয় শর্ম্মা, মাছিমপুর মনিপুরী পাড়া যুব সংঘের অনিক সিংহ প্রমুখ।

একাত্মতা পোষণ করে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, ইমজা সভাপতি আশরাফুল কবীর, শাবিপ্রবির শিক্ষার্থী ফয়সাল আহমদ শুভ, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলা নেতা তন্ময় পাল প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করলে ১১ জুলই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটা পদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন। এরপর ২ জুন কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনায় সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি তাদের সুপারিশে দেশের বিদ্যমান সকল কোটা বাতিল করে মেধাকে প্রাধান্য দেয়ার প্রস্তাব করে এবং ৩ অক্টোবর মন্ত্রিপরিষদ সভায় এটি অনুমোদন লাভ করে। যেখানে সরকারি চাকরিতে ১ম ও ২য় শ্রেণি (৯ম গ্রেড থেকে ১৩ গ্রেড) নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫% আদিবাসী কোটাও বাতিল করা হয়। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, 'দেশে এখন আর পিছিয়ে পড়া কোন জনগোষ্ঠী নেই।' আমরা এ বক্তব্যের তীব্র বিরোধীতা জানাচ্ছি।

বক্তারা আরও বলেন, দেশে প্রায় ৪৬টি আদিবাসী জনগোষ্ঠী বসবাস করে যাদের জীননযাত্রার মান এখনো অনেক পিছিয়ে। যার কারণে দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর সাথে সমভাবে এগিয়ে যেতে পারছে না। এছাড়াও পার্বত্য ও সমতলের আদিবাসীদের ভূমি দখল, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ঘটনা নিয়মিত চিত্র। যার ফলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কর্তৃক উপসংহার অনুমোদন প্রসূত এবং সরকারি ও অন্যান্য গ্রহণযোগ্য আর্থ-সামাজিক সমীক্ষা ও আদমশুমারির তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভিত্তিহীন ও বৈষম্যমূলক।

এছাড়াও বৃহত্তর সিলেট আদিবাসী ছাত্র ঐক্য পরিষদ মনে করে আদিবাসী কোটা কোন ভাবেই মেধাকে অবমূল্যায়ন করে না। এটি আদিবাসীদের অধিকার। আমরা আমাদের অধিকার নিশ্চিতের জন্য একত্রিত হয়েছি। সরকারি চাকরিতে ৫ শতাংশ আদিবাসী কোটা বহাল রাখতে হবে, যা রাষ্ট্র আমাদের প্রদান করতে বাধ্য। তাই আপনাদের সকলের প্রতি আহ্বান রইলো- আমাদের দাবির সাথে একাত্ম হওয়ার ও দেশের সকল নাগরিকদের সমতার অধিকার প্রাপ্তিতে ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত