সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ১৯:৪১

মৌলভীবাজার সমিতির কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও বৃত্তি প্রদান

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, “শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। এতদিন শিক্ষাক্ষেত্রে আমরা পিছিয়ে থাকলেও এখন অনেকদূর এগিয়েছি। বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা অধ্যয়ন করছে। এ সংখ্যা তুলনামূলক কম, তবে আমার বিশ্বাস নতুন প্রজন্ম ধীরে ধীরে সে জায়গাটুকু পূরণ করে নিবে।”

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে সিলেটস্থ মৌলভীবাজার সমিতির কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

তিনি কৃতী শিক্ষার্থী ও বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “শুধু পড়ালেখা করে জিপিএ-৫ পেলে হবে না; তোমাদেরকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে। তাহলে এ সংবর্ধনা-বৃত্তি পাওয়া এবং দেয়া সার্থক হয়ে উঠবে।”

সিলেটস্থ মৌলভীবাজার সমিতির সভাপতি এমএ মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের পরিচালক অধ্যাপক মো. হারুনুর রশীদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সোবহান, সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিকান্দর আলী।

মেয়র আরিফুল হক আরও বলেন, “সৌহার্দ্য সম্প্রীতির আধ্যাত্মিক নগরী হচ্ছে সিলেট। এখানে রাজনীতি, সমাজনীতি সর্বক্ষেত্রে আমরা এভাবে থাকতে চাই। সিলেটের উন্নয়ন প্রশ্নে আমরা সবাই এক এবং ঐক্যবদ্ধ।”

তিনি বলেন, “আমাকে কাপুরুষের মতো মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি-ধমকি দিয়ে লাভ নেই। সকলের ভালোবাসা ও দোয়া নিয়ে এতদূর এসেছি।”

নগরবাসীর ঋণ কখনো শোধ করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে মেয়র বলেন, “আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে একটি পরিকল্পিত নতুন সিলেট উপহার দিতে পারবো।”

সমিতির যুগ্ম সম্পাদক এডভোকেট বদরুল আহমদ চৌধুরী ও আহমদ মাহবুব ফেরদৌস এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক হারুনুর রশীদ বলেন, “আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষকরা নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।”

ছাত্রছাত্রীদের শুধুমাত্র পড়ার টেবিলে জিম্মি না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “সন্তানদের হাতে বই তুলে দিন। তাদেরকে বই পড়তে উৎসাহ যোগান। তাহলে তারা ভালো মন ও মননের অধিকারী হবে।”

শাবির অধ্যাপক ড. আব্দুস সোবহান বলেন, “দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে হলে নতুন প্রজন্মকে নৈতিক শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর জ্ঞান অর্জন করতে হবে।”

তিনি বলেন, “যারা কৃতী শিক্ষার্থী তাদের উপরে উঠার সিঁড়ি মাত্র শুরু। এ জন্য অনেকদূর এগিয়ে যেতে হলে মনোযোগ সহকারে পড়ালেখা করতে হবে।”

ড. সোবহান বলেন, “ঘুষ ও পদলেহন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে মেধাবী শিক্ষার্থীদের নিয়োগ দিতে হবে। তাহলে শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, সমিতির উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. মো. আজিজুর রহমান, অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল ওয়াদুদ, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আশরাফুর রহমান, নাট্য ব্যক্তিত্ব ও লেখক সুনির্মল কুমার দেব মীন, এডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব, পিডিবির তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল কাদির, শাহনাজ পারভিন, এসএসসি কৃতী শিক্ষার্থী তানিয়া আক্তার, এইচএসসি কৃতী শিক্ষার্থী শাহজাদী তাজকিয়া ফারহানা।

কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের উপদেষ্টা এডভোকেট আব্দুল খালিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান তৌফিক মজিদ লায়েক, সাদ ওবায়দুল লতিফ, এডভোকেট চৌধুরী আতাউর রহমান আজাদ, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুস্তম খান, কোষাধ্যক্ষ আলীম উদ্দিন মান্নান, সদস্য সৈয়দ মহসিন হোসেন, এডভোকেট সাইফুর রহমান, ডা. হোসাইন আহমদ, অর্জুন কুমার দাশ, নুরুল হক সুহেল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা জাকির হোসেন মজুমদার।

উল্লেখ্য, সিলেটে বসবাসরত এসএসসি ও এইচএসসি’র ৪৬ কৃতী শিক্ষার্থীকে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ এবং মেধাবী ৯ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত