সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ নভেম্বর, ২০১৯ ২১:৩৮

‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ ১৯১৯’ বই প্রকাশ

বাতিঘর প্রকাশিত ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ ১৯১৯’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।

বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় পূর্ব জিন্দাবাজারস্থ বাতিঘর সিলেটে প্রকাশনাঅনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে বই প্রকাশনা অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

প্রকাশনাঅনুষ্ঠানে সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, লেখক গবেষণায় অত্যন্ত পারদর্শী। তাই বইয়ের জন্য রবীন্দ্রনাথের জীবনের ১৯১৯ সালকে বেঁচে নিয়েছেন। এই সালে সিলেটে আসা ছাড়াও রবীন্দ্রনাথের জীবনে অনেক উল্লেখ্য যোগ্য ঘটনা ঘটেছে। রবীন্দ্রনাথসিলেটে আসায় আমরা সমৃদ্ধ হয়েছি।  
বইয়ের লেখা ও লেখার পেছনের গল্প নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বইয়ের লেখক রবীন্দ্রগবেষক উষারঞ্জন ভট্টাচার্য। এছাড়াও ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ১৯১৯’ বইয়ের বিভিন্ন লেখার বিশ্লেষণ করেন অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফা এবং কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুভেন্দু ইমাম। কবি প্রণব কান্তি দেবের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন বাতিঘরের স্ত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ।

বইয়ের লেখক উষারঞ্জন ভট্টাচার্য ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দকে  রবীন্দ্রনাথের জীবনে এক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। এছাড়াও জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকা-ের (১৩ এপ্রিল) প্রতিবাদে কবি ইংরেজ সরকারের দেওয়া ‘নাইটহুড’ উপাধি প্রত্যাখ্যান করে ভাইসরয় লর্ড চেমসফোর্ডের কাছে চিঠি লেখেন (৩০ মে) তেজোদ্বীপ্ত ভাষায়। মনের ভার কমাতে পেরে কবি আত্মস্থ হন, যেন ফিরে পান নিজেকে। লিপিকা-র অসামান্য গদ্যগুলো সেসময়ে লেখা।

১৯১৯ সালে কবির সিলেট ভ্রমণ নিয়ে লেখক বলেন,  একবারমাত্র, কবি সিলেট ভ্রমণ করেন। আগমন ৪ নভেম্বর, প্রস্থান ৮ নভেম্বর। এই কদিনে বিভিন্ন সংবর্ধনাসভায় তিনি যে স্মরণীয় বক্তৃতা পেশ করেন সেগুলো আজও খুব প্রাসঙ্গিক মনে হয়। করিমগঞ্জ রেলস্টেশনে ট্রেন দাঁড়াত মিনিট তিনেক, কবির সম্মানে অভ্যর্থনার জন্য সেদিন রেল-কর্তৃপক্ষ বিরতির ব্যবস্থা করেছিলেন পঁচিশ মিনিট। সিলেটের মণিপুরি নৃত্য কী গভীর অনুপ্রেরণা সঞ্চারিত করেছিল কবির মনে তা বোঝা যায় তার নিজেরই নৃত্যনাট্যের ছাঁচে বা পরিকল্পনায়। এমন বহু মনোরম ও কৌতূহলোদ্দীপক তথ্য রয়েছে ‘সিলেটে রবীন্দ্রনাথ১৯১৯’ বইতে।

কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শুভেন্দু ইমাম বলেন, এই বই পড়ে রবীন্দ্রনাথ সম্পর্কে ১০০ বছর আগের ইতিহাস জানা যাবে। সিলেট এসে কী করেছিলেন তা সম্পর্কে লেখা আছে এই বইয়ে। উনি তাৎক্ষনিক ভাবে বইটি লিখেছিলেন। লেখকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

অধ্যাপক গোলাম মোস্তাফা বলেন, এই বই লিখে তিনি রবীন্দ্রনাথ যে সিলেটে এসেছিলেন সেটা মনে করে দিয়েছেন। একজন গবেষকের প্রধান কাজ হচ্ছে তথ্য উদঘাটন করা এবং সুন্দর করে উপস্থাপন করে তোলা পাঠকদের কাছে। এক্ষেত্রে লেখক সফল।

বাতিঘরের স্বত্বাধিকারী দীপঙ্কর দাশ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে এই বইটি প্রকাশ করতে পেরে আমি আনন্দিত। বইটি সিলেট বাতিঘরসহ বাতিঘরের সকল শাখায় পাওয়া যাবে। তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতসহ সকলকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান।  

আপনার মন্তব্য

আলোচিত