সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৯ ২৩:১৩

চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও চলচ্চিত্রকর্মীদের জাতীয় সভা শনিবার

প্রস্তাবিত ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন, ২০১৯’ এর খসড়াপাঠ ও বিচার বিষয়ে চলচ্চিত্র সংসদকর্মী ও চলচ্চিত্রকর্মীদের জাতীয় সভা শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে।

ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের (এফএফএসবি) আয়োজনে জাতীয় এ সভায় সভাপতিত্ব করবেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ এর সভাপতি স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমি। সভা সঞ্চালনা করবেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক বেলায়াত হোসেন মামুন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের চলচ্চিত্র বিষয়ক আইনগুলো চলচ্চিত্রের জন্য সহায়ক নয়, বরং প্রতিবন্ধক। বাংলাদেশে চলচ্চিত্রচর্চা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ-বিতরণ ও প্রদর্শন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনগুলোতে যত রকম বিধিনিষেধ আছে তা এ দেশে চলচ্চিত্রে উৎসাহী মানুষকে চলচ্চিত্রে সক্রিয় হতে নিরুৎসাহিত করে।

এতে বলা হয়, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা বা চলচ্চিত্রকর্মীর জন্য সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড। পৃথিবীতে এখন কোনো উন্নত দেশে ‘ফিল্ম সেন্সর বোর্ড’ দিয়ে চলচ্চিত্রকে ‘অবরুদ্ধ’ করার এমন প্রক্রিয়া জারি নেই। কিন্তু বাংলাদেশে সেন্সর বোর্ড শুধু আছে তা নয়, এখানে ফিল্ম সেন্সর বোর্ড সকল সৃজনশীল চলচ্চিত্রের জন্য বিরুদ্ধপক্ষ হিসেবে সক্রিয় আছে। যা বাংলাদেশের জন্য ভীষণ দুর্ভাগ্যজনক।

"এ কারণে দীর্ঘ দিন ধরে চলচ্চিত্র সংসদসমূহ ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের বিলোপ চেয়ে এসেছে। চলচ্চিত্র সংসদকর্মীরা বাংলাদেশে ফিল্ম সেন্সর বোর্ডের বিলোপ করে ‘ফিল্ম সার্টিফিকেশনের’ দাবি জানিয়ে এসেছে। যাতে করে একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা বা চলচ্চিত্রকর্মীর সৃজনশীল স্বাধীনতা অক্ষুণ্ণ থাকে। চলচ্চিত্রকে ‘কর্তন’, ‘নিষিদ্ধ’ অথবা সেন্সর সনদ ‘না দিয়ে আটকে’ রাখার মত পরিস্থিতির অবসান চাওয়া হয়েছে। ভাবা হয়েছে, চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বাস্তবায়িত হলে একটি চলচ্চিত্রকে বয়সভিত্তিক ‘সার্টিফিকেট’ দিয়ে কোনো রকম বাধা ছাড়াই অবমুক্ত করা সম্ভব হবে। দীর্ঘ দিনের এমন চাওয়ার প্রেক্ষিতে বর্তমান সরকার ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০১৯’ এর খসড়া প্রণয়ন করেছেন এবং তা সর্বসাধারণের মতামতের জন্য উন্মুক্ত করেছেন।"

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ (এফএফএসবি) প্রস্তাবিত ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০১৯’ এর খসড়াপাঠ ও বিচার করায় আগ্রহী। আমরা দেখতে চাই যে, ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০১৯’ বাংলাদেশের চলচ্চিত্রশিল্প এবং চলচ্চিত্র নির্মাতাদের কতটুকু সৃজনশীল স্বাধীনতা প্রদান করছে।

এই সভা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশসমূহ ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশ এর নেতৃত্বে তথ্য মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ এবং প্রস্তাবিত আইনটিকে চলচ্চিত্র শিল্প ও চলচ্চিত্রকর্মীদের জন্য অধিকতর অবাধ ও মুক্ত অভিপ্রায়ে প্রণয়নের জন্য সরকারের দায়িত্বশীল মহলে স্মারকলিপি আকারে প্রদান করা হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত