সংবাদ বিজ্ঞপ্তি

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৯ ১৮:৩৯

সিলেটে শ্রম আদালত শুরুর দাবিতে স্মারকলিপি

অবিলম্বে শ্রম আদালত, সিলেট-এর কার্যক্রম শুরু এবং শ্রম আদালতের মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিরসন করে ৯০ দিনের মধ্যে সকল মামলা নিষ্পত্তি করার দাবিতে মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. চট্ট. ২৩০৫ এর উদ্যোগে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।

৮ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গলস্থ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শকের মাধ্যমে স্মারকলিপিটি প্রদান করা হয়।

জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল ও সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন মিয়া স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিটি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তা গ্রহণ করে জরুরি ভিত্তিতে যথাযথ মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।

স্মারকলিপির অনুলিপি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক ও মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর প্রেরণ করা হয়। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় হোটেল শ্রমিকরা দৈনিক ১০/১২ ঘণ্টা অমানবিক পরিশ্রম করে অর্ধাহারে-অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য হন।

হোটেল শ্রমিকরা সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ও শ্রম আইন অনুযায়ী প্রাপ্য আইনি সুযোগ সুবিধা হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। শ্রমিকরা তাদের আইনগত অধিকার বাস্তবায়নের দাবি করলে হোটেল মালিকরা শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে যখন তখন যে কোন শ্রমিককে তাদের ইচ্ছামাফিক বরখাস্ত করেন। বরখাস্ত হওয়া শ্রমিক বাধ্য হয়ে শ্রম আইন বাস্তবায়নকারী স্থানীয় কর্তৃপক্ষ হিসেবে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের দ্বারস্থ হলে মালিক পক্ষের অসহযোগিতা ও অনমনীয় মনোভাবে কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আইনি প্রতিকার পাওয়া সম্ভব হয় না।

সম্প্রতি মৌলভীবাজার জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন রেজি. নং চট্ট. ২৩০৫ এর সদস্য একজন শ্রমিকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপ-মহাপরিদশর্কের কার্যালয়, শ্রীমঙ্গল মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আপোষ মীমাংসা বৈঠক করে বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬ এর ধারা ১২৪ ক(৫) এবং বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা-২০১৫ এর বিধি ১১৩(৫) অনুযায়ী অভিযোগকারী শ্রমিককে শ্রম আদালতে অভিযোগ দায়েরের মাধ্যমে প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে সিদ্ধান্ত জানান।

শ্রমিকদের সর্বশেষ আশ্রয় স্থল হচ্ছে শ্রমআদালত। হোটেল শ্রমিক, চা-শ্রমিকসহ সিলেট বিভাগের সর্বস্তরের শ্রমিকদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ২৪ জুন ২০১৯ সরকার শ্রমআদালত, সিলেট স্থাপন করে প্রজ্ঞাপন জারি করলেও দীর্ঘ ৫ মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও অদ্যাবধি শ্রমআদালত, সিলেট-এর কার্যক্রম শুরু করা হয়নি।

শ্রমআদালত, সিলেট-এর কার্যক্রম শুরু না হওয়ায় শ্রমিকদের আদালতে আশ্রয় নেওয়ার সুযোগও থাকছে না। এমতাবস্থায় শ্রম আদালত, সিলেট-এর কার্যক্রম অনতিবিলম্বে শুরু করা জরুরি এবং শ্রমআদালতের মামলার দীর্ঘসূত্রিতা নিরসন কল্পে ৯০ দিনের মধ্যে সকল মামলা নিষ্পত্তির প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানানো হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত