ক্রীড়া প্রতিবেদক

০৯ নভেম্বর, ২০১৫ ২০:৩৬

বাংলাদেশের টানা পঞ্চম ওয়ানডে সিরিজ জয়

গত বছর এই সময় জিম্বাবুয়েকে ৫-০ ব্যবধানে হারানো দিয়ে শুরু তারপর স্মরণীয় বিশ্বকাপ খেলে এসে একে একে পাকিস্তান , ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা হয়ে আবার জিম্বাবুয়েকে হারানোর মধ্য দিয়ে টানা ৫টি ওয়ানডে সিরিজ জিতল মাশরাফি মুর্তজার দল। সোমবার মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের জয়  ৫৮  রানে।  

১৪৫ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ জয়টা প্রথম ম্যাচেই এগিয়ে নিয়েছিল টাইগার বাহিনী। সাকিববিহীন দ্বিতীয় ম্যাচেও হেরফের হয়নি। তবে এদিন অতটা হেসে খেলে জেতা হয় নি,  জিততে হয়েছে ঘাম ঝরিয়ে।

২৪২ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেলেও একসময় তা কাটিয়ে ভালোই জবাব দিচ্ছিল জিম্বাবুয়ে। সিকান্দার রাজাকে নিয়ে অধিনায়ক এল্টন চিগুম্বুরা যখন দলকে জয়ের দিকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন তখনই আল-আমিনের জোড়া আঘাতে করে বাংলাদেশকে খেলায় ফিরিয়ে আনেন।
 
প্রথম ৪ ওভারে ২২ রান তোলে প্রথম উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ৪৫ রানের মধ্যেই হারায় ৩ উইকেট। আরাফাত সানি প্রথমে ফিরিয়ে দেন চাকাবাকে, এরপর কাপ্তান মাশরাফির বলে বোল্ড হয়ে যান চিবাবা। আর উইলিয়ামসকে  সিরিজে নিজের প্রথম শিকারে পরিণত করেন মুস্তাফিজ। এরপর আরবিন আর চিগুম্বুরা মিলে  প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও লিটন দাসের দারুণ থ্রোতে রান আউট হয়ে ফিরে যান আরবিন।

পরে রাজাকে নিয়ে ৭৩ রানের জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চোখ রাঙ্গানী দিচ্ছিলেন জিম্বাবাবুয়ে কাপ্তান। তবে বিচক্ষণ মাশরাফি আল-আমিনকে ফিরিয়ে আনলে সিকান্দার রাজা ৩৩ এবং চিগুম্বুরা ৪৭  রান করে ফিরে যান।

৪২ তম ওভারে নাসিরের বলে শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ম্যালকম উলার উইকেটের পেছনে মুশিফিকের গ্লাভসবন্দি হলে বাংলাদেশের জয় কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। এরপর তৃতীয় স্পেলে ফিরে জোয়াঙ্গেকে বোল্ড করে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় এবং একই ওভারে পানিয়াঙ্গারাকে তোলে নিয়ে তৃতীয় উইকেট পান মুস্তাফিজ।

আর শেষ ব্যাটসুম্যান  ক্রেমারকে আউট করে ১০ ওভার বল করে মাত্র ৩৬ রান দেয়া নাসির পান ২ উইকেট।  


এর আগে দারুণ বোলিং করে বাংলাদেশকে আড়াইশ রানের নিচে আটকে রাখে জিম্বাবুয়ে।

দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভাল হয়নি। তবে ইমরুলের ৭৬, নাসিরের ৪২ এবং সাব্বিরের ৩৩ রানের কল্যাণে ৫০ ওভার শেষে ২৪১ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে পানিয়াংগারা ৩ উইকেট এবং ক্রেমার ও মুজারাব্বানি ২ উইকেট করে নেন।

৭৬ রান করার পাশাপাশি ২টি ক্যাচ নেয়ায় ম্যাচ সেরা হয়েছেন ইমরুল কায়েস।








 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত