ক্রীড়া প্রতিবেদক

১১ নভেম্বর, ২০১৫ ২০:৪৩

উড়ন্ত বাংলাদেশের সামনে ফের হোয়াটওয়াশ জিম্বাবুয়ে

সিরিজ শুরুর আগে কাউকে ভবিষৎবাণী করতে দিলে বেশিরভাগের ৩-০ তে বাংলাদেশের জয়ের দিকেই মত থাকত। সবার ধারণা ব্যতিক্রম হয় নি মোটেও। উড়তে থাকা বাংলাদেশের সামনে তেমন কোন প্রতিরোধ ছাড়াই আরেকবার হোয়াইওয়াশ হয়েছে জিম্বাবুয়ে।

এই নিয়ে বাংলাদেশের কাছে টানা ৮বার হারল তারা। সব মিলিয়ে হারল ৩৯তম বার।

১৪৫ রান, ৫৮ রানের পর শেষটায় জয় ৬১  রানে। প্রতি ম্যাচে কেবল পরাজয়ের ব্যবধানে ঊনিশ-বিশ হলেও বাংলাদেশের দাপট কমাতে পারে নি চিগুম্বুরার দল।

হোয়াইটওয়াশ এড়াতে ২৭৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা জিম্বাবুয়ে প্রথম ওভারেই মুস্তাফিজের আঘাতে হারায় চিবাবাকে। 'কাটার' মুস্তাফিজ ৪৩ রানের মাথায় তোলেন চাকাবাকেও। তবে রান রেট ধরে রেখেছিল সফরকারীরা।

দলীয়  ৪৭ রানের আরবিন  নাসিরের শিকারে হলেও অধিনায়ক চিগুম্বুরা উইলিয়ামসকে সাথে নিয়ে ভালোই জবাব দেয়া শুরু করেন। এ দুজনের জুটি ৮০ রান উঠার সময় অনেকের কপালে যখন চিন্তার ভাঁজ তখন মাশরাফির সাহসী সিদ্ধান্তে ব্রেক থ্রো। চিগুম্বুরাকে যতটা না সাব্বির আউট করেছেন ততটাই তাঁর পেছনে আছে 'ম্যাশের' বিচক্ষণ অধিনায়কত্ব।

৫ম উইকেট জুটিতে আরেকটি প্রতিরোধ গড়ে জিম্বাবুয়ের। ম্যালকম উলারকে নিয়ে  উইলিয়ামস বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তোলে যখন জিম্বাবুয়েকে আশার আলো দেখাচ্ছিলেন তখন আল-আমিনের আঘাতে ৩২ রান করা উলারের বিদায় আর জিম্বাবুয়াইনদের সেরা ৬৪ রান করা উইলিয়ামসকে তোলে জয় অনেকটা হাতের মুঠোয় নিয়ে আসেন মাশরাফি।


মুস্তাফিজের বিষ তাঁর সেকেন্ড স্পেলে সবসময়ই ভয়ংকর। তা প্রমাণ করতেই যেন তাকে ফিরিয়ে আনায় হোয়াইটওয়াশ সময়ের ব্যাপার হয়ে যায়। তবে মুস্তাফিজের তৃতীয় উইকেটে যতটা না অবদান তাঁর স্লোয়ারের তারচেয়ে ঢের বেশি সাব্বিরের জন্টি রোডস বনে যাওয়ার। বেশ কয়েক গজ দৌড়ে হাওয়ায় ভেসে যে ক্যাচ নিলেন সেটা বাংলাদেশ ক্রিকেটের বর্তমান সময়ের প্রতীকী ছবিও বলা যায়। পরের বলেই  জোয়াঙ্গেকেও ফিরিয়ে দেন মুস্তাফিজ, ফিল্ডার আবারও সাব্বির।

পরের ওভারে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মত ৫ উইকেট পেয়ে যান বিশ্ব ক্রিকেটের নতুন সেনশেশন মুস্তাফিজ। আর মুজারব্বানিকে শেষ উইকেট পেয়ে ম্যাচে উইকেটের খাতায় নাম লেখান আরাফাত সানিও। জিম্বাবুয়ে থেমে যায় ২১৫ রানে। ফল ৬১ রানের জয় টাইগারদের।

এর আগে তামিম, ইমরুলের ৭৩ এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৫১ রানের সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান তোলে বাংলাদেশ।


৭৩ রান করা তামিম পেয়েছেন ম্যাচ সেরার পুরষ্কার।  আর ৩ ম্যাচে ১৫৩ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছেন মুশফিক।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত