স্পোর্টস ডেস্ক

১৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ০৯:৪১

মেসি ও নেইমারকে ছাড়াই দলে দুর্বার সুয়ারেস

দলের সবচেয়ে বড় দুই তারকা লিওনেল মেসি ও নেইমার ছিলেন না। তবে আক্রমণভাগের আরেক তারকা লুইস সুয়ারেস জ্বলে ওঠায় কোনো সমস্যা হয়নি বার্সেলোনার। উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিকে গুয়াংজো এভারগ্রান্দেকে সহজেই হারিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছেছে লুইস এনরিকের দল।

জাপানের ইয়োকোহামায় নিশান স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে চীনের ক্লাবটিকে ৩-০ গোলে হারায় বার্সেলোনা।

কুঁচকির চোটের কারণে আগে থেকেই দলে ছিলেন না নেইমার। সঙ্গে ম্যাচ শুরুর ঘণ্টা দুয়েক আগে তলপেটের ব্যথায় মেসির ছিটকে পড়াটা বার্সেলোনার জন্য বড় ধাক্কা হয়ে আসে। তবে সুয়ারেসের দাপটে কোনোরকম দুর্ভাবনায় পড়তে হয়নি।

প্রথমার্ধের অধিকাংশ সময় প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রাখা বার্সেলোনা ৩২তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার ভালো সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার উঁচু করে বাড়ানো বলে স্ট্রাইকার মুনির এল হাদ্দাদির হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

আক্রমণের পর আক্রমণ করে যাওয়া বার্সেলোনা অবশেষে গোলের দেখা পায় ৩৯তম মিনিটে। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া ইভান রাকিতিচের শট গোলরক্ষক ঠেকালেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি, ফিরতি বল পেয়ে কাছ থেকে জালে জড়ান লুইস সুয়ারেস।

দুই মিনিট বাদেই সমতায় ফিরতে পারতো এভারগ্রান্দে। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এলকেসনের দারুণ এক হেড দুর্দান্তভাবে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন বার্সেলোনা গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভো।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই নিজের দ্বিতীয় গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুয়ারেস। আন্দ্রেস ইনিয়েস্তার উঁচু করে বাড়ানো বল বুক দিয়ে নামিয়ে ডান পায়ের ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন উরুগুয়ের এই স্ট্রাইকার।

৬৭তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে হ্যাটট্রিক করেন সুয়ারেস। এভারগ্রান্দের চীনা মিডফিল্ডার হুয়াং বোয়েন নিজেদের ডি বক্সে মুনিরকে ফাউল করলে পেনাল্টিটা পেয়েছিল বার্সেলোনা।

এ মৌসুমে বার্সেলোনার হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলে সুয়ারেসের এটা ২২তম গোল। বাকি সময়ে প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ ধরে রাখলেও ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি সুয়ারেস-মুনিররা।

আগামী রোববার ফাইনালে আর্জেন্টিনার ক্লাব রিভার প্লেটের সঙ্গে শিরোপা লড়াইয়ে নামবে ২০০৯ ও ২০১১ সালের চ্যাম্পিয়নরা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত