স্পোর্টস ডেস্ক

২৩ মার্চ, ২০১৬ ১২:৫৩

তাসকিন নিষিদ্ধে আইসিসির সিদ্ধান্ত বহাল

বাংলাদেশের পেস বোলার তাসকিন আহমেদের উপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন গ্রহণ না করে আইসিসির জুডিশিয়াল কমিশনার বাংলাদেশের এই তরুণ পেসারের উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছেন।

বুধবার (২৩ মার্চ) আইসিসি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বোলিং করায় তাসকিনের উপর নিষেধাজ্ঞার আগের সিদ্ধান্তই বহাল থাকার কথা জানায়।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরের ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এই পেসারের খেলার ক্ষীণ সম্ভাবনাটুকুও এর মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেল।

তাসকিনকে ফেরাতে নিয়মতান্ত্রিক পথে উদ্যোগ নিয়ে সোমবার আইসিসির কাছে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হয়। তাকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাঠানোর প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করেই জানানো হয় রিভিউ আবেদন। বিসিবির বক্তব্য ছিল, পরীক্ষায় পাঠানোর আগে প্রয়োজনীয় ধাপগুলো তাসকিনে ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়নি।

গত ৯ মার্চ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল আরাফাত সানি ও তাসকিনের বোলিং অ্যাকশন। নিয়ম অনুযায়ী বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণার এক সপ্তাহের মধ্যে পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে হয়। সানির পর গত ১৫ মার্চ তাসকিনও চেন্নাইয়ের রামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাগারের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ফল আসার পর গত শনিবার আইসিসি দুই বোলারকেই নিষিদ্ধ করে।

সানির বিষয়টি মেনে নিলেও তাসকিনের নিষেধাজ্ঞা মেনে নিতে পারেনি বাংলাদেশ দলের সদস্যরা থেকে শুরু করে কোচ ও বিসিবি কর্মকর্তারাও। এর ফলশ্রুতিকেই করা হয় রিভিউ আবেদন।

আইসিসির বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার জুডিশিয়াল কমিশনার মাইকেল বেলফ কয়েক ঘণ্টাব্যাপী কনফারেন্স কলের মাধ্যমে শুনানি করেন। এতে তাসকিনের পক্ষে অসংখ্য যুক্তি তুলে ধরা হয়। সব যুক্তি শুনে ও এ বিষয়ে আইসিসির বক্তব্য পাওয়ার পর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার রায় সব পক্ষকে জানিয়ে দেন তিনি।

এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে হলে তাসকিনকে বোলিং অ্যাকশন শুধরে আইসিসি অনুমোদিত পরীক্ষাগারে আবার পরীক্ষা দিতে হবে।

এদিকে, তাসকিন আহমেদকে ফেরাতে সব প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন কথা বলেন আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহর ও প্রধান নির্বাহি ডেভিড রিচার্ডসনের সঙ্গেও। এছাড়াও তিনি তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে বেঙ্গালুরুও উড়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোন প্রচেষ্টাই সফল হয় নি। আইসিসি তাদের পূর্বের দেওয়া সিদ্ধান্তে অনড় থাকার সিদ্ধান্ত নেয়।

আইসিসির এ সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন ক্রিকেটে স্পষ্টভাষী মানুষ হিসেবেই পরিচিত ইয়ান চ্যাপেলও। বাংলাদেশ দলের অন্যতম সেরা দুই বোলারের নিষেধাজ্ঞাকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বললেন অস্ট্রেলিয়ার এই সাবেক অধিনায়ক।

বাংলাদেশ দলের জন্য সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাসকিন ও সানিকে কেন নিষিদ্ধ করা হলো, তা আমার বোধগম্য নয়। আমি মনে করি না যে এর পেছনে কোনো যুক্তি আছে। তা ছাড়া বড় কোনো টুর্নামেন্ট চলাকালে এমন সিদ্ধান্ত বড্ড খারাপই বটে। বাংলাদেশ দলের জন্য রইল সমবেদনা। দলের গুরুত্বপূর্ণ দুজন বোলারকে হারানোর ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া তাদের জন্য সত্যিই কঠিন।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত