স্পোর্টস ডেস্ক

২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৬:১৫

অবসর না নিলে দল থেকে বাদ পড়তেন টেন্ডুলকার!

শচীন টেন্ডুলকারকেও দল থেকে বাদ দেওয়া যায়! না, শেষ পর্যন্ত বাদ দিতে হয়নি, টেন্ডুলকার নিজেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে সেই ঘোষণা না দিলে নাকি সত্যি সত্যি দল থেকে বাদ দেওয়া হতো! চমকে দেওয়া মতো এই খবরটা দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) তখনকার প্রধান নির্বাচক সন্দীপ পাতিল। ২০১২ সালের ডিসেম্বরে টেন্ডুলকার নিজে ওয়ানডে থেকে অবসর না নিলে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হতো বলে জানিয়েছেন তিনি।

২০১২ সালের ডিসেম্বরে ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন টেন্ডুলকার। অবশ্য ক্যারিয়ারের শেষ ওয়ানডেটা খেলেছেন এর বেশ আগে, ওই বছরের মার্চে ঢাকায় এশিয়া কাপে। আর পরের বছর নভেম্বরে টেস্ট থেকেও অবসরে যান কিংবদন্তি এই ব্যাটসম্যান। তবে ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে করাচি টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেকের পর এর মাঝে কখনো ফর্মের কারণে তাঁকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। চোটের কারণে অবশ্য বেশ কিছু ম্যাচ খেলতে পারেননি। সেই টেন্ডুলকারকেই কিনা দল থেকে ছুড়ে ফেলার চিন্তা করছিলেন সন্দীপ পাতিলের নেতৃত্বাধীন তখনকার নির্বাচকেরা!

অবসরের পর অবশ্য শোনা যাচ্ছিল, তাঁকে অবসর নিতে বাধ্য করা হয়েছে। কিন্তু তখন সেসব স্রেফ গুঞ্জনই মনে হচ্ছিল। এত দিন পরে এসে সেটার সত্যতা স্বীকার করলেন পাতিল। ভারতের একটি মারাঠি টেলিভিশন চ্যানেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বরে আমরা শচীনের কাছে তার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চাই। ও বলেছিল, অবসরের কথা ভাবছে না। কিন্তু শচীনকে নিয়ে নির্বাচকমণ্ডলী এর আগেই সিদ্ধান্তে পৌঁছে গিয়েছিল...বোর্ডকেও তা জানানো হয়েছিল। আমরা জিজ্ঞেস করার পরে আসলে শচীন বুঝতে পেরেছিল কী হতে যাচ্ছে। কারণ, পরের বৈঠকে আগে সে আমাকে ফোন করে জানায়, সে অবসর (ওয়ানডে থেকে) নিচ্ছে।’ পাতিলের দাবি, ‘তখন যদি সে অবসরের সিদ্ধান্ত না নিত, আমরা তাকে অবশ্যই বাদ দিতাম।’

অবশ্য একই গ্রুপের অন্য একটি সংবাদমাধ্যমের ওয়েবসাইটে পরে নিজের এই ভাষ্য থেকে কিছুটা সরে অন্য কথা বলেছেন পাতিল, ‘২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর নির্বাচকেরা শচীনের সঙ্গে দেখা করে তার ইচ্ছেটা জানতে চান। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে আমিই ওই বৈঠকটা ঠিক করেছিলাম। এর উদ্দেশ্য ছিল ওর মনে কী চলছে সেটা জানা। এটা ভালো উদ্যোগই ছিল। শচীন চেয়েছিল টেস্টের দিকে আরও মনযোগ দিতে।

সুতরাং সিদ্ধান্ত হলো, সে ওয়ানডে থেকে অবসর নেবে। তারপর সে আমাকে আর সঞ্জয় জাগদালেকে (তখনবার বিসিসিআই সচিব) সিদ্ধান্তটা জানায়। সবার সম্মতিতেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল, সে ওয়ানডে থেকে অবসর নেবে।’
এখন পাতিলের কোন ভাষ্যটা সত্য তা কে বলবে?
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আপনার মন্তব্য

আলোচিত