নিউজ ডেস্ক

০৮ জানুয়ারি, ২০১৫ ১০:৫৭

মেলবোর্নে তামিমের দিনকাল

মেলবোর্নের তামিম-আয়েশার  হোটেল-রেস্তোরা-হোটেল রুটিন বিরক্তকর কাটছে  ।   স্ট্যামফোর্ড হোটেল থেকে যেদিন ফিজিওথেরাপিতে যান, সেদিন তাও একটু ব্যস্ততা থাকে। নইলে খাওয়া আর বিশ্বাম ছাড়া কোন কাজই নেই । হঠাৎ হঠাৎ  অস্ট্রেলিয়াপ্রবাসী বন্ধু শাফায়েতের সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাওয়া হয় বটে ।

এই নিস্তরঙ্গ জীবনে কিছুটা হলেও প্রাণ সঞ্চার করেছেন সাকিব আল হাসান। বিগ ব্যাশ খেলতে ঢাকা থেকে হোবার্ট যাওয়ার পথে এক রাত ছিলেন মেলবোর্নে। সে রাতেই দেখতে গিয়েছিলেন তামিমকে। ‘সাকিব এসেছিল আমাকে দেখতে। আজ (৭ জানিয়ারি) খেলা শেষেও ফোন করেছিল। কাল (৮ জানুয়ারি) ও মেলবোর্নে আসবে। তখন হয়তো একসঙ্গে কোথাও ঘুরতে-টুরতে যাব’—মুঠোফোনে বলছিলেন তামিম। ১০ জানুয়ারি মেলবোর্নে মেলবোর্ন স্টারসের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে সাকিবের দল মেলবোর্ন রেনিগেডস। পায়ের অবস্থা ভালো থাকলে ম্যাচটা দেখতে যাওয়ার ইচ্ছা আছে তামিমের।


ডান হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর মেলবোর্নে তামিমের পুনর্বাসন চলছে। পুনর্বাসন বলতে অবশ্য এখন পর্যন্ত ফিজিওথেরাপি, জিম আর পায়ের চিকিৎসাই। মেলবোর্নের স্পোর্টস ফিজিওথেরাপি সেন্টারে তাঁকে ফিজিওথেরাপি দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ান রুলস ফুটবলের এক ফিজিও। এক দিন পর পর সেখানে যান, ঘণ্টা দেড়েক ধরে চলে ফিজিওথেরাপি। আজ থেকে অবশ্য হোটেলে এসেই ফিজিওথেরাপি দিয়ে যাওয়ার কথা ওই সেন্টারের আরেক ফিজিওর।

অস্ত্রোপচারের পর গতকালই প্রথম ডা. ডেভিড ইয়াংকে দেখাতে গিয়েছিলেন তামিম, নিয়েছেন একটা ইনজেকশন। মুঠোফোনে বলছিলেন, ‘দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য এটা তিন ইনজেকশনের একটা কোর্স। ১৩ তারিখে আরেকটা ইনজেকশন নেব। শেষেরটা নেব দলের সঙ্গে যখন বিশ্বকাপ খেলতে আসব তখন।’ তার মানে কি বাংলাদেশ দল অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার আগেই ফিরে আসছেন দেশে? ‘১৩ তারিখে ডাক্তার দেখানোর পর অবস্থার কিছুটা উন্নতি দেখলে ১৪-১৫ তারিখে দেশে চলে যাব। বিশ্বকাপ উপলক্ষে অনেক দিনের জন্য আসতে হবে। গোছগাছেরও তো ব্যাপার আছে’—তামিমের উত্তর।

অবস্থার উন্নতি হচ্ছে কি না, সেটা অবশ্য তিনি বুঝতে পারবেন আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকেই। সাইক্লিং শুরু করবেন তখন, শুরু হবে হালকা দৌড়াদৌড়িও। আর অস্ত্রোপচারের চার সপ্তাহ পর ক্রিকেটিং ফিটনেস ফিরে পাওয়ার আশ্বাস তো দিয়েই রেখেছেন ইয়াং। অবশ্য অস্ত্রোপচার সম্পর্কে কাল নতুন একটা তথ্য দিলেন তামিম। তাতে মিশে আছে শঙ্কা, যা সত্যি হলে বিশ্বকাপের আগে বা বিশ্বকাপের মধ্যেও আবার দুঃসংবাদ শুনতে হতে পারে তামিমকে। বাঁহাতি এই ওপেনার জানাচ্ছিলেন, ‘মূল সমস্যাটা পুরোপুরি ঠিক করতে গেলে আমাকে তিন মাস খেলার বাইরে থাকতে হতো। এখন তাই সেটা পুরোপুরি ঠিক করা হয়নি। ডাক্তারের বিশ্বাস, যেটুকু ঠিক করেছেন তাতেই আমি ভালোভাবে খেলতে পারব। তবে সমস্যা হলে এক সপ্তাহ পরই আবার হতে পারে, অথবা কোনো দিনই আর না-ও হতে পারে। যখনই সমস্যা হবে, তখন পুরোটাই ঠিক করাতে হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত