নিজস্ব প্রতিবেদক

২৪ এপ্রিল, ২০১৫ ২১:৪০

টি-টোয়েন্টিতেও পাত্তা পেল না পাকিস্তান

বাংলাদেশ সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে ১ বছর আগে। টি-টোয়েন্টি না খেলার  অনভ্যাসের  কারণে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতেও জিতবেই এমন আশা করা যাচ্ছিল না। কিন্তু সব হিসাব নিকাশ পাল্টে দিয়ে টি-টোয়েন্টিতেও পাকিস্তানকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা খেলল বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।

২২ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ। এটিই পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি জয়। এই জয়ে বড় অবদান রাখলেন বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান, অবদান রাখলেন ড্যাশিং ব্যাটসম্যান সাব্বির রহমান। আর বোলিং এ চমকে দিলেন অভিষিক্ত মোস্তাফিজুর রহমান।

১৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই হাফিজের উপর ঝড় বইয়ে দেন তামিম। ১৪ রান নেয়ার পর ওই ওভারেই কোন বল খেলার আগেই রান আউট হয়ে যান তৃতীয় ওয়ানডেতে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা সৌম্য। এরপর ফিরে যান তামিমও।

মুশফিক এসেই দারুণ কিছু শটে ১৯ রান করলেও ওয়াহাব রিয়াজের বলে বোল্ড হয়ে গেলে কিছুটা শঙ্কায় পড়ে টাইগাররা।

তবে সব শঙ্কাকে উড়িয়ে সাকিব আল হাসান আর সব্বির রহমান রুম্মান যেভাবে প্রতিযোগিতা করে বাউন্ডারির ফুলঝুড়ি ছোটালেন, তাতে উড়েই গেলে আফ্রিদিরা। ২২ বল হাতে রেখেই পাকিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টি২০তে ৭ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নিল মাশরাফি বাহিনি। ৮ম বারেরমত মুখোমুখি হয়ে টি২০ ক্রিকেটে এই প্রথম পাকিস্তানকে হারানোর স্বাদ পেলো বাংলাদেশ।

টস জিতে ব্যাটিং নেয়া পাকিস্তানকে চেপে ধরেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে মোস্তাফিজ ছিলেন অনন্য। ৪ ওভারে মাত্র ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট তোলেন নেন ১৯ বছরের বাঁহাতি এই পেসার। এছাড়াও উইকেট পেয়েছেন তাসকিন ও সানি। তবে সবচেয়ে কিপটা বোলার ছিলেন সাকিব। তাঁর ৪ ওভার থেকে পাকিস্তানিরা তোলতে পেরেছে মাত্র ১৭ রান

ওয়ানডে সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করার পর এবার একমাত্র টি২০তেও পাকিস্তানকে দাপটের সঙ্গে হারাল টিম বাংলাদেশ। ১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৬.২ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ৪১ বলে ৫৭ রান নিয়ে সাকিব আল হাসান এবং ৩২ বলে ৫১ রান নিয়ে অপরাজিত ছিলেন সাব্বির রহমান। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন টাইগারদের এই নতুন সেনসেশন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত