সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ০৪:১৬

নিজেদেরকে ফেভারিট দাবি করলেন মিসবাহ, মুশফিক বললেন একমাত্র লক্ষ্য জয়

বাংলাদেশ পাকিস্তান দুই দলের ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন যেন টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগের কার্বনকপি। একদিকে পাকিস্তান অধিনায়ক নিজেদেরকে ‘অভিজ্ঞ’ উল্লেখ করে ‘ফেভারিট’ দাবি করা আর অন্যদিকে স্বাগতিক অধিনায়কের প্রতিপক্ষের কথাগুলো কবুল করে দিয়ে বলা নিজেদের একমাত্র লক্ষ্য জয়।

টি-টোয়েন্টির আগে পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদি যা করলেন তাই করে দেখালেন মিসবাহ উল হক আর মাশরাফির কথাগুলোকে ঘুরিয়ে একই বক্তব্য দিলেন মুশফিকুর রহীম।

ঢাকায় অনুষ্ঠিত একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে লজ্জায় ডুবিয়ে সাত উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয়ি হয়েছিল বাংলাদেশ। খুলনায়ও কী হতে যাচ্ছে তেমন কিছু? জবাব পেতে অবশ্য অপেক্ষা করতেই হবে বেশ কিছু কারণ ডিফারেন্ট বল গেম এটা; পাঁচ দিনের টেস্ট!

ক্রিকেটের ধরণের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে দুই দলের অধিনায়কও বদল হয়েছে। পাকিস্তান থেকে উড়ে এসেছেন অভিজ্ঞ মিসবাহ উল হক আর ইউনিস খান। যেমনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে পাকিস্তান আগেও শরণাপন্ন হয়েছিল তাদের অভিজ্ঞদের। কিন্তু ওয়ানডে সিরিজের মতো একই পরিণতি হয়েছিল তাদের।

সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তান অধিনায়ক বলেন- আমাদের টেস্ট দলটা বেশ অভিজ্ঞ। এই কম্বিনেশনেই আমরা অনেক দিন ধরে ভালো খেলে আসছি। টেস্ট ভিন্ন ধরনের ক্রিকেট, আর আমাদের ছেলেরাও টেস্ট ক্রিকেটটাই ভালো বোঝে।

আর সোমবার (২৭ এপ্রিল) ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বললেন- পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে জয় পাওয়া সহজ নয়। কঠোর পরিশ্রমের প্রয়োজন। যারাই খেলবে ভালো করতে হবে।
এসময় তিন বিভাগেই সেরাটা দেওয়ার কথা বলেন মুশফিক। তিনি বলেন, ব্যাটে সেরাটা দিতে হবে। বাজে বোলিং করলে তার মাশুল দিতে হবে। আর ফিল্ডিংয়ে অবহেলা করলে চলবে না। আমরা তিন বিভাগেই সমন্বয় করে ভালো করতে চাই।

সিরিজের নিজেদের লক্ষ্য সম্পর্কে মুশফিক বলেন- ড্র করার জন্য কিংবা হারের জন্য কেউ টেস্ট ক্রিকেট খেলে না। আমাদের অ্যাপ্রোচ অবশ্যই জয়ের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২টি টেস্ট ম্যাচই কিন্তু আমরা লাস্ট সেশনে গিয়ে জয় লাভ করেছি। এটা কখনো সহজ হয় না কারো জন্যই। আমাদের এতোটুকু বিশ্বাস আছে আমাদের যে বোলিং আক্রমণ আছে; আমাদের ২০ উইকেট নেওয়ার মতো বোলার আছে। আমাদের ব্যাটসম্যানরা ৬০০ প্লাস রান করার মতো। আমরা ফিল্ডাররা যদি আমাদের যেসব সুযোগ আছে সেগুলো নিতে পারি তাহলে রেজাল্ট আমাদের পক্ষেই আসবে।

ইতিহাস অবশ্য পাকিস্তানের পক্ষে। এ পর্যন্ত খেলা ৮টা টেস্টে পাকিস্তান ৮বারই জিতেছিল। এদিকে, ইতিহাসের বিপক্ষে ইতিহাস গড়া দিয়েই বাংলাদেশ শুরু করেছে এ সিরিজ। ১৬ বছর পর পাকিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেটে জয়, একই সঙ্গে সিরিজে ৩-০তে বাংলাওয়াশ আর একমাত্র টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে প্রথমবারকে পরাজয়ের স্বাদ দেওয়া সবই হয়েছে।

ইতিহাসের বিপক্ষে ইতিহাস গড়ার যে সিরিজ সেখানে টেস্টে আবারও ইতিহাস গড়া হলে হয়ত অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। জয়টা যে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যে স্বাভাবিক হয়ে আসছে আজকাল!

আপনার মন্তব্য

আলোচিত