সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

০১ মে, ২০১৫ ১১:৫৮

তাইজুল ঘূর্ণিতে ৬২৮-এ থামল পাকিস্তান; ইনিংসে লিড ২৯৬

তাইজুলের ঘূর্ণিতে চতুর্থ দিনের প্রথম শেষে পাকিস্তানের প্রথম ইনিংস শেষ হলো ৬২৮ রানে। পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে এগিয়ে আছে ২৯৬ রানে। ইনিংসে তাইজুল নেন ৬ উইকেট।

টেস্ট ক্রিকেটে ৩য় বারের মতো ৫ উইকেটের দেখা পেলেন তাইজুল ইসলাম। অভিষেক টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই পেয়েছিলেন প্রথম ৫উইকেটের দেখা। এরপর গত বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আবার গড়েন এই কীর্তি। ৩৯ রানে ৮ উইকেট নিয়ে করেন ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। এবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৬৩ রানে ৬ উইকেট দখল করলেন তাইজুল।

ইয়াসির শাহকে আউট করে খুলনা টেস্টে পঞ্চম উইকেট নিয়েছেন তাইজুল ইসলাম, আর বাবরকে আউট করে তাইজুল নেন তার ৬ষ্ট উইকেট।

ডান হাতের অনামিকায় চোট পাওয়া বাংলাদেশের অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক শুক্রবারও মাঠে নামেননি। তার জায়গায় আগের দুই দিন ‘কিপিং’ করেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েস। শুক্রবার ৮ ওভার পর কিপিং থেকে সরে যান তিনি। তার জায়গায় গ্লাভস হাতে উইকেটের পেছনে দাঁড়ান মাহমুদউল্লাহ।

১৬০তম ওভারে বোলিং এসেই সাফল্য পান মোহাম্মদ শহীদ। তার বলে বদলি ফিল্ডার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সরফরাজ আহমেদ (৮২)।

পরের ওভারে ওয়াহাব রিয়াজকে বোল্ড করে নিজের চতুর্থ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম।

১৬৬তম ওভারে নতুন বল নিয়েই সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ফিরতি ক্যাচ নিয়ে আসাদ শফিককে (৮৩) ফিরিয়ে নিজের প্রথম উইকেট নেন সাকিব আল হাসান।

পরের ওভারে ইয়াসির শাহকে (১৩) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে নিজের পঞ্চম উইকেট নেন তাইজুল।

প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন শেষে স্বাগতিকদের থেকে ২০৫ রান এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শুরু করে সফরকারীরা। মোহাম্মদ হাফিজের মহাকাব্যিক ডাবল সেঞ্চুরি আর আজহার আলি, মিসবাহ, আসাদ শফিক, সরফরাজ, ইউনিসদের ব্যাটিং দৃঢ়তায় স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংসে করা ৩৩২ রানের জবাবে বড় লিড নেয় পাকিস্তান।

তৃতীয় দিনশেষে সফরকারীদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৫৩৭ রান। আসাদ শফিক ৫১ রান আর সরফরাজ আহমেদ ৫১ রান নিয়ে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিন শেষ করেন। এ দু’জন মিলে আরও ৬৯ রানের জুটি গড়ে তোলেন। চতুর্থ দিন এখান থেকেই শুরু করে সফরকারীরা।

তৃতীয় দিন মাত্র ৪টি উইকেট হারিয়ে দ্বিতীয় দিনের সঙ্গে আরও ৩১০ রান যোগ করে পাকিস্তান। এর আগে ১০৫ রানে পিছিয়ে থেকে মিসবাহ বাহিনী তৃতীয় দিন শুরু করে। স্বাগতিক বোলারদের অপেক্ষায় রেখে এগিয়ে চলে পাকিস্তানের ইনিংস।

তৃতীয় দিন শুভাগতের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন ৮৩ রান করা আজহার আলি। মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ২২৭ রানের বড় জুটিও গড়েন আজহার। দু’জন মিলে টাইগার বোলারদের ৬০ ওভার অপেক্ষায় রাখেন।

এরপর তাইজুলের শিকারে সাজঘরে ফেরেন ইউনিস খান। ব্যক্তিগত ৩৩ রান করে তাইজুলের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে সরাসরি বোল্ড হন ইউনিস। ইউনিসকে নিয়ে হাফিজ ৬২ রানের জুটি গড়েন। ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকানো মোহাম্মদ হাফিজকে ফেরান স্পিনার শুভাগত হোম। ২২৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলার পর পাকিস্তানি এ ওপেনার মাহমুদ্দুল্লাহ রিয়াদকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিওনে ফেরেন। তিনি ৩৩২ বলে ২৩টি চার আর তিনটি ছক্কায় এ ইনিংসটি সাজান। আউট হওয়ার আগে মিসবাহর সঙ্গে ৬৩ রানের জুটি গড়েন হাফিজ।

পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে বিদায় নেন পাকিস্তান দলপতি মিসবাহ। ব্যক্তিগত ৫৯ রান করে রুবেল হোসেনের তালুবন্দি হন মিসবাহ। মিসবাহ-আসাদ শফিক জুটি থেকে আসে আরও ৬৬ রান।

শুক্রবার শেখ আনু নাসের স্টেডিয়ামে ৫ উইকেটে ৫৩৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। এর আগে প্রথম ইনিংসে ৩৩২ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত