সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

০২ মে, ২০১৫ ১৪:০৪

তামিমের ডাবল সেঞ্চুরি

টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল শতক পেলেন তামিম ইকবাল। ২৬৪ বল খেলে ১৭টি চার আর ৭টি ছয়ে তিনি এখনও অপরাজিত রয়েছেন।

এখন পর্যন্ত টাইগারদের লিড রয়েছে ৮৮ রানের।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশ দুই উইকেট হারিয়ে ৩৮৩ রান তুলেছে। নিজের ক্যারিয়ার সেরা রান করে অপরাজিত আছেন তামিম। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ব্যাট করে যাচ্ছেন তামিম।

ম্যাচের তৃতীয় দিন বাংলাদেশকে চোখ রাঙানি দেওয়া সফরকারীরা পঞ্চম দিনে মোটেও স্বস্তিতে নেই। ক্রিকেট বিশ্বকে অবাক করে দিয়ে দুই টাইগার ওপেনার একরকম নাস্তানাবুদ করে ছেড়েছে পাকিস্তানি বোলারদের। ইমরুল ফিরে গেলেও উইকেটে অপরাজিত থাকেন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টেস্ট সেঞ্চুরির মালিক তামিম ইকবাল।

প্রথম ইনিংসে টাইগারদের সর্বোচ্চ রানের স্কোরার মুমিনুল হক জুনায়েদ খানের বলে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন। দলীয় ৩৪৫ রানের মাথায় আউট হওয়ার আগে ৫১ বল খেলে দুটি চার আর একটি ছয়ে তিনি ২১ রান করেন।

২৯৬ রানের বড় লিড নিয়েও দুঃশ্চিন্তায় সফরকারীরা। ২৩ রান পিছিয়ে থেকে প্রথম টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে আগের দিনের দুই অপরাজিত সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল এবং ইমরুল কায়েস ব্যাটিংয়ে নামেন।

চতুর্থ দিনের দুটি সেশন খেলে ১৩২ রানে অপরাজিত থাকা ইমরুল কায়েস ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং করে বিদায় নেন। জুলফিকার বাবরের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ব্যক্তিগত ১৫০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলে আউট হন ইমরুল। তামিমের সঙ্গে রেকর্ড ৩১২ রানের জুটি গড়েন তিনি।

আউট হওয়ার আগে বাঁহাতি এ ওপেনার ২৪০ বল মোকাবেলা করেন। পাকিস্তানি বোলারদের মোট ১৯ বার সীমানা ছাড়া করেন তিনি। ১৬টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছক্কা হাঁকানো ইমরুলের ব্যাটিং ছিল ৬২.৫০ স্ট্রাইক রেটে গড়া।

এর আগে খুলনায় চতুর্থ দিনের যে ৫টি উইকেটের পতন হয়, তার সবগুলোই তুলে নেয় স্বাগতিকরা। আর ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ইকবাল আর ইমরুল কায়েসের দুরন্ত সূচনায় এবং বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে রেকর্ড পার্টনারশিপে ভর করে চতুর্থ দিন শেষে বাংলাদেশ কোনো উইকেট না হারিয়ে তোলে ২৭৩ রান।

প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের চতুর্থ দিন মহাকাব্যিক দু’টি ইনিংস খেলেছেন তামিম এবং ইমরুল। দু’জনই হাঁকিয়েছেন শতক। ১৩৮ রানে অপরাজিত থেকে তামিম আর ইমরুল ১৩২ রান নিয়ে পঞ্চম ও শেষ দিনের ব্যাটিংয়ে নামেন। চতুর্থ দিন তামিমের ইনিংসটি ১৮৩ বলে ১৩টি চার আর ৪টি ছয়ে সাজানো ছিল। আর ইমরুল ১৮৫ বল মোকাবেলা করে ১৫টি চার আর ৩টি ছক্কায় সাজান তার ইনিংসটি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত