স্পোর্টস ডেস্ক

০৫ মে, ২০১৫ ১৫:৪৩

নগদ বৃদ্ধির দাবি পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের

একেই বুঝি বলে মরার ওপর খাঁড়ার ঘা। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সমস্যার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতরই হচ্ছে। এমনিতেই পাকিস্তান ক্রিকেটের মাঠের পারফরম্যান্সের অবস্থা তথৈবচ তার ওপর খেলোয়াড়েরা এখন দল পাকাচ্ছেন বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে। যদিও নতুন চুক্তিতে খেলোয়াড়দের বেতন বাড়ানো হয়েছে, নতুন করে তাই বেতন বৃদ্ধির এই দাবি পিসিবিকে ভালো রকম সমস্যার মধ্যেই ফেলে দিচ্ছে। 

গত বছরের ডিসেম্বরেই খেলোয়াড়দের সঙ্গে পিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। বিশ্বকাপের ডামাডোলে বোর্ড নতুন করে তিন মাসের একটি অস্থায়ী চুক্তিপত্র তৈরি করে। কিন্তু খেলোয়াড়েরা বিশ্বকাপ খেলতে নিউজিল্যান্ডে পৌঁছানোর পর সেই চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানায়। টিম ম্যানেজারের কাছে তারা পূর্ণাঙ্গ বার্ষিক চুক্তির দাবি করে। এত দিনে এসে পিসিবি খেলোয়াড়দের চূড়ান্ত বার্ষিক চুক্তির কাজ গুছিয়ে এনেছে। নতুন চুক্তিতে তালিকাবদ্ধ খেলোয়াড়দের মাসিক বেতন ১০ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে।

কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট নন দলের কয়েকজন পুরোনো খেলোয়াড়। সে কজনের দাবি সব রকম ক্রিকেটেই তাদের ম্যাচ ফি-ও বৃদ্ধি করতে হবে। যে খেলোয়াড়েরা ম্যাচ ফি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের নাম অবশ্য জানা যায়নি। তবে টেস্ট অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক তাদের প্রতিনিধি হয়ে বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে দর-কষাকষি করছেন বলে জানা গেছে। বিশ্বকাপের পরেই মিসবাহ সীমিত ওভারের খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন। পিসিবির পক্ষ থেকে মিসবাহকে জানানো হয়েছে যে এটা চুক্তি নবায়নের কাজে নিয়োজিত কমিটি বিষয়টি বিবেচনা করে দেখবে। প্রধান নির্বাচক হারুন রশীদ সেই কমিটির প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন।

বোর্ড আরও জানিয়েছে যে ম্যাচ ফি বাড়ানোর ক্ষেত্রে তারা ফিটনেস এবং পারফরম্যান্সের ওপর নজর রেখেছে। কিন্তু এই দুই ক্ষেত্রেই দলের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। চলতি বছরে ১২টি ওয়ানডে খেলেছে পাকিস্তান। জিতেছে মাত্র ৪ টিতে, হেরেছে ৮টি। বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই ফিরে যেতে হয় তাঁদের। বিশ্বকাপের পর প্রথম ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের কাছে ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হয় পাকিস্তান। অসহায় আত্মসমর্পণ করে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচটিতে। ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচেও মাঠ ছাড়তে হয়েছে ড্র নিয়ে। এই যখন অবস্থা, তখন খেলোয়াড়দের দাবি পিসিবি কতটুকু গুরুত্ব দিয়ে দেখবে সেটাই দেখার বিষয়। এমনিতেও বোর্ডের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন যে, ‘নতুন চুক্তিটি হবে ১২ মাসের জন্য। এবং খেলোয়াড়েরা তাদের পারফরম্যান্সের ওপর ভিত্তি করেই পুরস্কৃত কিংবা তিরস্কৃত হবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত