সিলেটটুডে স্পোর্টস ডেস্ক

০৬ মে, ২০১৫ ২০:০৮

ঢাকা টেস্ট: প্রথম দিন শেষেই অনেকগুলো প্রশ্ন

আগেরদিনও মুশফিক বলেছিলেন ঢাকা টেস্ট জিততে একাদশে একজন বাড়তি বোলার থাকবে। কিন্তু সকালে একাদশ দেখে অধিনায়কের কথার কোন সত্যতা মিলল না। রুবেলের বদলে শাহাদাত এই একটাই পরিবর্তন নিয়ে নামল বাংলাদেশ। ৮ ব্যাটসম্যান, সাকিবসহ ৪ বোলার। শুরুতেই প্রশ্ন উঠল ২০ উইকেট নেয়ার জন্য এই লাইনআপ কি যথেষ্ট?

পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের শেষ টেস্টটিকে ফাইনাল ম্যাচ হিসেবেই নিয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। কিন্তু টসের পরেই আবার প্রশ্নের জন্ম দিলেন মুশফিক। টসে জিতে বেছে নিলেন ফিল্ডিং। কারণ হিসেবে বললেন উইকেটে ঘাস রয়েছে। তাহলে দুই পেসার নিয়ে একাদশ সাজানো কেন?

টেস্ট ম্যাচ জিততে হলে প্রতিপক্ষের ২০ টি উইকেট তুলে নেওয়া ছাড়া অন্যকোন উপায় নেই। কিন্তু একাদশে আট ব্যাটসম্যান। ‘ফাইনাল ম্যাচ’ জিততে যেখানে তুণের সব অস্ত্র নিয়ে ঝাপানোর কথা সেখানে কেন এই রক্ষান্তক সিদ্ধান্ত?

ম্যাচের প্রথম  বলেই ঘটল দুর্ঘটনা। বল করতে গিয়ে পড়ে গিয়ে আহত শাহাদাত দ্বিতীয় বল করলেন বটে কিন্তু এরপরই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হলেন। তার ওভার সহ আরও কয়েকটি ওভার বল করলেন তাই সৌম্য সরকার। লাঞ্চ বিরতীর আগে মাঠে এসে তাইজুলের বলে সামি আছলামের ক্যাচ নিলেন শাহাদাত। সবাই যখন আশা করছিল লাঞ্চের পরই হয়ত বল করবেন তিনি। কিন্তু লাঞ্চের সময় ওয়ার্মআপে আবার পড়ে গিয়ে স্ট্রেচারে করে মাঠ ছাড়েন দীর্ঘদেহিএই পেসার।

এই মৌসুমে ঘরোয়া লীগেই নিষ্প্রভ শাহাদাত পুরোপুরি ম্যাচ ফিট নন জেনেও কেন একাদশে রাখা হল? এমন প্রশ্ন বেশ বড়সড় করেই ডানা মেলছে।

 সারাদিন এই প্রশ্নগুল ঘুরপাক খেল মিরপুর স্টেডিয়ামে। কিন্তু বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তখন দিন শেষেই শক্ত অবস্থানেই আছে পাকিস্তান। তাদের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৩২৮ রান। ইউনিস খান ১৪৮ রান করে মোহম্মদ শহীদের বলে শুভাগতের হাতে ক্যাচ দিলে তৃতীয় উইকেটে দেখা পায় বাংলাদেশ। দিন শেষ আজহার আলী ১২৭ এবং মিসবাহ নয় রান নিয়ে ক্রিজ আছেন।

তার উপর যোগ হয়েছে বাজে ফিল্ডিং, এবং নো বলে উইকেট পেয়ে আক্ষেপটাই বাড়িয়েছেন সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ শহীদরা। প্রথম সেশনেই মোহাম্মদ শহীদের বলে স্লিপে সৌ্ম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়েও পার পেয়ে যান আজহার আলী। কিন্তু নো বলের কারণেই বেঁচে যান ব্যাটসম্যান। তখন তার রান ছিল ১৮। এরপর লাঞ্চের আগের শেষ ওভারে আজহার আলী সাকিবের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন কিন্তু তা ধরতে পারেননি মুমিনুল হক।

এরপর চা বিরতির পর দলীয় ১৯৬রানের মাথায় সৌম্যর বলে শর্ট কাভারে সাকিবের হাতে ক্যাচ দিলেও বলটি নো হওয়াতে বেঁচে যান ইউনিস খান। এরপর সাকিব, তাইজুলদের এলোমেলো বোলিং আর বাজে ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানেরা।


ঢাকা টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দিন ২১ ওভার বল করে মোহাম্মদ হাফিজ এবং ইউনিস খানের উইকেট তুলে নিয়েছেন শহীদ। কিন্তু আবার নো বলের কারণে উইকেট বঞ্চিত ছিলেন বাংলাদেশের এই পেসার।

দিনশেষে বড় দুঃসংবাদ জানা গেল - লিগেমেন্টই ছিড়ে গেছে শাহাদাতের। ফলে আর এই টেস্টে মাঠেই নামতে পারবেন না তিনি। ফলে একজন কম নিয়ে বোলিং ও ব্যটিং করতে হবে বাংলাদেশকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত