স্পোর্টস ডেস্ক

১৩ জুন, ২০১৮ ১৪:৪৮

বিশ্বকাপের 'মাসকট' ইতিহাস

প্রত্যেক বিশ্বকাপের একটা মূল আকর্ষণ হচ্ছে বিশ্বকাপের মাসকট। এবারের বিশ্বকাপের দর্শকরাও বঞ্চিত হচ্ছেন না সে আকর্ষণ থেকে। এবারের বিশ্বকাপের মাসকট ‘জাবিভকা’ নামের একটি নেকড়ে। রশিয়ান ভাষায় ‌‘জাবিভকা’ অর্থ—যে গোল করতে পারে।

তবে আমরা অনেকেই মাসকটের ইতিহাস জানি না। মাসকটের প্রচলন শুরু হয় ১৯৬৬ সাল থেকে। সে বছর বিশ্বকাপ আয়োজন করে ইংল্যান্ড। তবে বিশ্বকাপের প্রথম ৮টি আসরে মাসকট ছিল না

আসুন পরিচিত হওয়া যাক বিশ্বকাপের সবগুলো মাসকটের সাথে—

উইলি— ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ (১৯৬৬)
বিশ্বকাপের ইতিহাসের প্রথম মাসকটটির নাম ‘উইলি’। এটি হচ্ছে যুক্তরাজ্যর পতাকা পরিহিত একটি সিংহ।

জুয়ানিতো—মেক্সিকো (১৯৭০)
জুয়ানিতো হ্যাট পরা এক মেক্সিকান বালক। যার হ্যাটে লেখা আছে ‘মেক্সিকো ৭০’।

টিপ অ্যান্ড ট্যাপ—পশ্চিম জার্মানি (১৯৭৪)
‘টিপ অ্যান্ড ট্যাপ’ জার্মানির জার্সি গায়ে দুই বালক। যাদের একজনের সার্জিতে লেখা ডব্লুএম (WM), অন্যজনের জার্সিতে লেখা ‘৭৪’।

গাউচিতো—আর্জেন্টিনা (১৯৭৮)
আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে এক কিশোর। যার ডান হাতে চাবুক। পায়ে বল। হ্যাটে লেখা ‘আর্জেন্টিনা ৭৮’।

নারানজিতো—স্পেন (১৯৮২)
নারানজিতো স্পেনের জার্সিতে সজ্জিত একটি কমলা। যার হাতে ফুটবল। কমলার স্প্যানিশ নাম নারানজা।

পিকু—মেক্সিকো (১৯৮৬)
পিকু একটি মরিচ। যে কিনা একটি ফুটবল বগলদাবা করে দারুণ পোজে দাঁড়িয়ে আছে। মাথায় হ্যাট।

চিয়াও—ইতালি (১৯৯০)
একজন অ্যাথলেটের কাঠামোয় তৈরি একটি মাসকট। ইতালির জাতীয় পতাকার রঙে। যার নিচে লেখা ‘ইতালিয়া ৯০’।

স্ট্রাইকার—যুক্তরাষ্ট্র (১৯৯৪)
স্ট্রাইকার হচ্ছে ফুটবলার হিসেবে পোজ দেওয়া একটি কুকুর। যার বাম পায়ের নিচে ফুটবল। বুকে লেখা ‘ইউএসএ ৯৪’।

ফুতিক্স—ফ্রান্স (১৯৯৮)
ফুটবলের ‘ফু’ আর কমিকস্ সিরিজ অ্যাস্টোরিক্সে ‘ইক্স’ এর সমন্বয়ে ‘ফুতিক্স’ চরিত্রটি তৈরি করা হয়েছে। ফরাসিদের নিল জার্সি পরিহিত ফুতিক্স ডান হাতে বল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। যার বুকে লেখা ‘ফ্রান্স ৯৮’।

অ্যাটো, ক্যাজ ও নিক—কোরিয়া-জাপান (২০০২)
তিন রঙের তিনটি মাসকট মিলে ‘অ্যাটমোবল’ নামে একটি দল। যেখানে অ্যাটো দলের কোচ, ক্যাজ ও নিক খেলোয়াড়।

গোলিও এবং পিল্লে—জার্মানি (২০০৬)
গোলিও মানে গোলদাতা সিংহ। যে পিল্লে নামক একটি কথা বলা বলের প্রেমে পড়েছে।

জাকুমি—দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১০)
জাকুমি হল সোনালি রঙের একটি চিতা। যার চুল সবুজ।

ফুলেকো—ব্রাজিল (২০১৪)
ফুলেকো ব্রাজিলের একটি বিপন্ন প্রজাতির আরমাডিলো গোত্রের প্রাণী।

সূত্র : ফিফা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত